কয়েক বছরের মধ্যেই আসতে চলেছে স্তন ক্যান্সার নিরাময়ের ভ্যাক্সিন, শুরু হয়েছে ট্রায়াল

worldwide-breast-cancer-risk-increasing-know-simple-prevention-ways

সারা বিশ্বে স্তন ক্যান্সার এখন একটি আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরেই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন মহিলারা। যে হারে স্তন ক্যান্সার বাড়ছে সেভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে এই আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার(WHO) রিপোর্ট অনুযায়ী, স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পেরোবে ১১ লক্ষ। একারণেই দুশ্চিন্তায় পড়ছে সকলেই।

Advertisements

স্তন ক্যান্সার নিয়ে দু:শ্চিন্তার মধ্যেই এনে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এনে দিল একটি সুখবর। তাঁরা একটি বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সঙ্গে জোট বেঁধে স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী আবিষ্কার করতে চলেছেন। এর ফলে প্রতিরোধ করা যেতে পারে স্তন ক্যান্সারে। তৈরী হতে চলেছে এক নতুন ভ্যাক্সিন। আশা করা হচ্ছে, সমস্তকিছু ঠিকঠাকভাবে চললে ২০৩০ সালে সারা বিশ্বের মহিলাদের জন্য একটি বিশাল সুখবর নিয়ে আসতে পারবেন চিকিৎসকরা।

বর্তমানে ক্যান্সারের চিকিৎসায় মূলত ব্যবহৃত হয় ওষুধ, কেমোথেরাপি সহ রেডিয়েশন থেরাপি। এই চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্যে আগের থেকে এই সব রোগে সাফল্যের হার বেশি। তবে এই সমস্ত পদ্ধতির থেকে ভ্যাক্সিনেশন পদ্ধতিতে আগে থেকেই আটকে দেওয়া যাবে এই ভয়ানক রোগটি। বিজ্ঞানীদের মতে, এই ভ্যাক্সিন নিলে শরীরে ক্যান্সার কোষগুলিকে চিহ্নিত করতে পারবে। সেগুলিকে বেছে বেছে ধ্বংস করতে পারবে। ফলে আটকে যাবে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি। যদি এই ভ্যাক্সিন সাফল্য পায়, তবে, তা স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারবে। বহু মানুষ আশার আলো দেখতে পাবেন। রোগীদের কম কষ্ট সহ্য করতে হবে এবং তারা আরও ভালোভাবে সুস্থ হতে পারবে। এই টিকা তৈরিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী ড. অমিত কুমারের মতো গবেষকরা বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন। এই কাজ সফল হলে ক্যান্সারের আতঙ্ক অনেকটাই কমে যেতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।

Advertisements

সম্প্রতি এই ক্যান্সার ভ্যাক্সিনের প্রথম ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। এই ভ্যাক্সিনটি তৈরির কাজ করছে Anixa Biosciences। এই ভ্যাক্সিন ক্যান্সারের সবচেয়ে মারাত্মক রূপ ট্রিপল-নেগেটিভ স্তন ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও কাজ করতে সক্ষম হতে পারে। প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালে ৩৫ জন মহিলাকে এই ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে। Anixa Biosciences ও ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক এই ভ্যাক্সিন নিয়ে কাজ করছে। তবে এই ভ্যাক্সিনের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।