ATACMS Long Range Missile: আমেরিকা ইউক্রেনকে এমন অনুমতি দিয়েছে যা তারা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিল। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (ATACMS) ব্যবহারের অনুমতি পেলে ইউক্রেন রাশিয়ার গভীরে হামলা চালাতে পারে। আমেরিকা তা এতদিন ব্যবহার করতে দেয়নি যাতে যুদ্ধ না বাড়ে। কিন্তু এখন নীতির এই পরিবর্তন সারা বিশ্বকে আতঙ্কিত করেছে। এছাড়াও, প্রশ্ন উঠছে যে কেন বাইডেন তার মেয়াদের শেষ দুই মাসে এই সিদ্ধান্ত নিলেন?
কিয়েভ গত এক বছর ধরে ATACMS দিয়ে রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের এলাকায় হামলা চালাচ্ছে। কখনও কখনও তা রাশিয়ার কিছু এলাকায় ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু আমেরিকা আগে কখনো অনুমতি দেয়নি। ইউক্রেন যুক্তি দিয়েছিল যে রাশিয়াকে আক্রমণ করতে না পারলে তা হবে এক হাতে লড়াইয়ের মতো। উত্তর কোরিয়ার সেনারা রাশিয়ায় আসার পর এই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে ইউক্রেনকে সব ধরনের সহায়তা দিতে চান বাইডেন।
ATACMS কী?
ATACMS এর পুরো নাম আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম। এটি একটি সারফেস টু সারফেস ব্যালিস্টিক মিসাইল যা 300 কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করতে সক্ষম। লকহিড মার্টিন এটি তৈরি করেছে। এগুলি M270 মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম (MLRS) বা চাকার M142 হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (HIMARS) থেকে নিক্ষেপ করা হয়।
প্রতিটি মিসাইলের দাম ১৫ লাখ ডলার (১২.৬৬ কোটি টাকা)। এতে শক্ত জ্বালানি রয়েছে। এতে ক্লাস্টার বোমাসহ অনেক ধরনের অস্ত্র বসানো যাবে। মার্কিন সেনাবাহিনী এটিকে একটি নতুন প্রজন্মের অস্ত্র দিয়ে প্রতিস্থাপন করছে, যার রেঞ্জ 500 কিলোমিটার।
যুদ্ধক্ষেত্রে এর প্রভাব কী হবে?
এই অনুমতির পর ইউক্রেন এখন রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে পারবে। প্রথমত এটি কুরস্কে ব্যবহার করা হবে, যেখানে ইউক্রেন দখল করেছে। কারণ রাশিয়া আবারও এই এলাকা অধিগ্রহণের চেষ্টা করছে। ইউক্রেন এখন রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি, পরিকাঠামো এবং গোলাবারুদ ভাণ্ডারকে টার্গেট করতে পারে। তবে এমন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়া ইতিমধ্যে তাদের জেট এবং সামরিক সরঞ্জাম রাশিয়ার অভ্যন্তরে ঘাঁটিতে স্থানান্তর করেছে। রাশিয়ার এই সিদ্ধান্ত তার সেনাদের সমস্যায় ফেলবে, কারণ সরবরাহ বা বিমান সহায়তা পৌঁছাতে সময় লাগবে। তবে যে পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে তা যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে না।