অমর একুশ: বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম ভাষা হতে চলেছে বাংলা

প্রসেনজিৎ চৌধুরী: সত্তর বছরে পা রাখছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিবসটি পালনের ঠিক আগে বাংলাদেশ সরকারের তরফে এসেছে বার্তা বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম ভাষা হতে চলেছে বাংলা।…

প্রসেনজিৎ চৌধুরী: সত্তর বছরে পা রাখছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিবসটি পালনের ঠিক আগে বাংলাদেশ সরকারের তরফে এসেছে বার্তা বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম ভাষা হতে চলেছে বাংলা। সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে পালিত হবে ‘অমর একুশ’ মূল অনুষ্ঠান।

দিনটি পালন হবার আগে ঢাকায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে বিশ্বের ৩৫ কোটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মাতৃভাষা বাংলার রাজধানীতে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা হবে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম ভাষা।

ভাষা নিয়ে তথ্য সংগ্রহকারী সংস্থা ইথনোলগ তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলেছে, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মানুষ কথা বলেন ইংরাজি ভাষায়। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ কথা বলেন এই ভাষায়। আর মাতৃভাষার নিরিখে ইংরাজির অবস্থান তৃতীয়। বিশ্বের ১০০টি বহুল ব্যবহৃত ভাষার তালিকা।

মাতৃভাষা হিসেবে বিশ্ব ভাষা তালিকায় বাংলার অবস্থান পঞ্চম এবং বহুল ব্যবহৃত ভাষা হিসেবে এর অবস্থান সপ্তম। ইন্দো ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত বাংলায় কথা বলেন ২২ কোটির বেশি মানুষ।

তথ্য প্রযুক্তিগত দৌড়ে ইংরাজি সহ বিভিন্ন ভাষার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়চ্ছে বাংলা। বাংলাদেশ ও ভারতের দুটি অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা যেমন আছে, তেমনই অসমের বরাক উপত্যকার তিনটি জেলা হাইলাকান্দি, কাছাড় ও করিমগঞ্জের বিপুল জনসংখ্যার বেশিরভাগই বাঙালি। এছাড়াও বিশ্ব জুড়ে ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বসবাসকারী প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলার ব্যবহার বেড়েছে।

বাংলাদেশের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন, বাংলা ভাষার প্রয়োগ সহজতর করতে এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ১৫৯ কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ে প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উন্নয়নে কাজ করছে। বাংলা পৃথিবীর অন্য দশটা ভাষার মতো সাধারণ ভাষা নয়। বাংলা ভাষার শক্তি অনেক সুদৃঢ়। বিশ্বের কোনো ভাষারই এমন কোনও উচ্চারণ নেই, যা বাংলা হরফ দিয়ে লেখা যায় না। এমনকি চিনা ভাষায় হাজার হাজার বর্ণ থাকার পরও সে ভাষায় সব লেখা যায় না।

তিনি বলেন বহুল প্রচারিত বিজয় বাংলা সফটওয়্যারের আগে ডিজিটাল যন্ত্রে বিজ্ঞানসম্মতভাবে বাংলা লেখার কোনো উপায়ই ছিল না। এই সফটওয়্যারে সিশার টাইপের ৪৫৪ বর্ণকে মাত্র ২৬টি বোতামে নিয়ে আসা হয়েছে।