সুখী নন প্রাক্তণ ফার্স্ট লেডি, ক্ষমতাচ্যুত আসাদের সঙ্গে বিচ্ছেদ চান আসমা

বর্তমানে সিরিয়ার (Syria) পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ (Bashr Al Asad) এবং তাঁর পরিবারের উপর রাজনৈতিক চাপ এবং বিদ্রোহীদের প্রতিরোধের কারণে দেশ ছেড়ে…

Bashr Al Asad's Wife demads divorce after Syrian Dictator fall down, wants to returnd UK

বর্তমানে সিরিয়ার (Syria) পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ (Bashr Al Asad) এবং তাঁর পরিবারের উপর রাজনৈতিক চাপ এবং বিদ্রোহীদের প্রতিরোধের কারণে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে বিদ্রোহীরা প্রবেশ করলে, বাশার আল আসাদ নিজের পরিবারের সঙ্গে দেশ ছাড়েন এবং বর্তমানে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। তবে, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাশারের স্ত্রী আসমা আল আসাদ এখন মস্কোতে সুখী নন এবং তিনি তার বিবাহিত জীবনের অবসান ঘটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

Donald Trump: ফের ভারত-যোগ, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তায় ট্রাম্পকে পথ দেখাবেন শ্রীরাম

   

আসমা আল আসাদ, যিনি ১৯৭৫ সালে লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন, সিরিয়ার প্রথম দম্পতির সদস্য হওয়ার আগে পশ্চিমা শিক্ষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত ছিলেন। তবে, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের মধ্যে এসে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে অনেক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। যদিও বাশার আল আসাদ ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি বেশ কিছু সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের জন্য পরিচিত ছিলেন, তবুও গৃহযুদ্ধের ফলে তাঁরা এক নতুন রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েন। এরই মধ্যে, আসমা আল আসাদ রাশিয়ায় চলে যাওয়ার পরও নিজেকে শান্তি এবং সুখী মনে করছেন না। 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামী গেরিলা যোদ্ধাকে জুতোর মালা পরিয়ে হেনস্থা

“জেরুজ়ালেম পোস্ট”-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসমা আল আসাদ এখন মস্কোর এক আদালতে বিবাহবিচ্ছেদ মামলা দায়ের করেছেন। এ ধরনের একটি পদক্ষেপ তাঁর জীবনের একটি বড় পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত করে। তিনি বাশারের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে নিজের স্বাধীনতা খুঁজতে চান। একই সাথে, আসমা আল আসাদ তাঁর জন্মভূমি লন্ডনে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তাঁর আবেদন বর্তমানে রাশিয়ার আদালতে বিবেচনাধীন রয়েছে।

আসমার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা শুধু ব্যক্তিগত স্তরে নয়, এটি সিরিয়ার রাজনীতির ক্ষেত্রেও এক নতুন মোড় নিয়ে আসতে পারে। আসমা আল আসাদ ও বাশারের সম্পর্কের অবনতি শুধু ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রাষ্ট্রীয়ভাবে সিরিয়ার সরকারের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও বাশার আল আসাদ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্বে সমালোচনা ছিল, আসমা কখনোই তেমন প্রকাশ্যে কোনো বিরোধিতা করেননি। এখন, এমন এক সময়ে তিনি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যখন সিরিয়ার পরিস্থিতি আরও জটিল এবং বিপদজনক হয়ে উঠেছে।

পরমাণু প্রকল্পে ‘কাটমানি’ নিয়ে অভিযুক্ত হাসিনার বোনঝি ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপের জেরা

আসমার এই সিদ্ধান্তের পিছনে নানা কারণে থাকতে পারে। মস্কোয় তাঁর অবস্থান সুখকর নয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। একদিকে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান, অন্যদিকে সিরিয়ার জন্য তাঁর ভবিষ্যতের পরিকল্পনা, এই সবই তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব ফেলেছে। তবে, সঠিক কারণ জানা যায়নি, কিন্তু এটা নিশ্চিত যে, আসমা তার জীবনের একটি নতুন অধ্যায়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।

আসমা আল আসাদের এই সিদ্ধান্ত সিরিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন এক আলোচনার সূচনা করেছে। এর ফলে সিরিয়ায় নতুন ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি হতে পারে, তবে এ সম্পর্কিত আরো তথ্য এবং developments আরও সামনে আসবে।