জনপ্রিয় বাংলাদেশি (bangladeshi) অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া, যিনি শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘মুজিব: দ্য মেকিং অফ অ্য নেশন’-এ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, রবিবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেফতার হয়েছেন। গত বছর জুলাইয়ে হাসিনার বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলনের সময় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৩১ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীকে (bangladeshi) রবিবার সকালে থাইল্যান্ডে যাওয়ার পথে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্ট থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে প্রথম আলো পত্রিকা জানিয়েছে। ঢাকা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ইউনিটের একটি সূত্র জানায়,
সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে ফারিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এই বিক্ষোভের ফলে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে প্রতিবেশী দেশ ভারতে (bangladeshi) পালিয়ে যান।
বাড্ডা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন যে নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটি পুলিশ সূত্র জানায়, ফারিয়াকে ঢাকার ভাটারা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে তাঁকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে স্থানান্তর করা হয় বলে প্রথম আলো জানিয়েছে।
মামলার প্রেক্ষাপট (bangladeshi)
গত ২৯ এপ্রিল ভাটারা থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় নুসরাত ফারিয়া (bangladeshi) সহ ১৭ জন অভিনেতা-অভিনেত্রীর নাম উল্লেখ করা হয়। এই মামলাটি জুলাই ২০২৪-এ শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত ব্যাপক গণ-আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নামে পরিচিত।
এই আন্দোলনের ফলে হাসিনার সরকারের (bangladeshi) পতন ঘটে এবং তিনি ভারতে আশ্রয় নেন। মামলায় শেখ হাসিনা সহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে হত্যাচেষ্টা, উসকানি, সহায়তা এবং ষড়যন্ত্রের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে, ফারিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল, এবং তিনি দেশ ত্যাগের চেষ্টা করার সময় বিমানবন্দরে ধরা পড়েন। সামাজিক মাধ্যমে এই গ্রেপ্তারের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, এবং অনেকে এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সমালোচনা করেছেন।
নুসরাত ফারিয়ার কর্মজীবন
নুসরাত ফারিয়া (bangladeshi) ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মুজিব: দ্য মেকিং অফ অ্য নেশন’ চলচ্চিত্রে শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। এই চলচ্চিত্রটি প্রয়াত ভারতীয় পরিচালক শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত এবং বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়। এই চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল, তবে এটি তাঁকে রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রেও নিয়ে আসে।
৩১ বছর বয়সী ফারিয়া তার কর্মজীবন শুরু করেন রেডিও জকি এবং উপস্থাপক হিসেবে। ২০১৫ সালে তিনি বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘আশিকি: ট্রু লাভ’ দিয়ে অভিনয়ে পা রাখেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে, বিশেষ করে বাংলা চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন(bangladeshi) । অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি টেলিভিশন উপস্থাপনা এবং মডেলিংয়েও সক্রিয়। তাঁর জনপ্রিয়তা এবং বহুমুখী প্রতিভা তাঁকে বাংলাদেশের বিনোদন জগতের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রে পরিণত করেছে।
ট্রাম্পের উপদেষ্টা বোর্ডে জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য নিয়োগের অভিযোগ
গ্রেপ্তারের পটভূমি
নুসরাত ফারিয়ার গ্রেফতার বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার একটি প্রতিফলন। জুলাই ২০২৪-এ শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন শুরু হয়, যা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
এই আন্দোলনের সময় ব্যাপক সহিংসতা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। হাসিনার পদত্যাগ এবং ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর তাঁর সরকারের সমর্থক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, অপহরণ এবং গণহত্যার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
নুসরাত ফারিয়ার মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনা বাংলাদেশের বিনোদন জগতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। প্রথম আলোর মতে, ফারিয়া সহ ১৭ জন অভিনেতা-অভিনেত্রীকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, সুবর্ণা মুস্তাফা এবং রোকেয়া প্রাচী। এই মামলাগুলোকে অনেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে দেখছেন, যা হাসিনার সরকারের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে দায়ের করা হচ্ছে।
সমাজ ও মিডিয়ার প্রতিক্রিয়া
নুসরাত ফারিয়ার গ্রেফতারের খবর সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। এক্স-এ একাধিক পোস্টে এই ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। লিখেছে, “জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেফতার হয়েছেন।”
জানিয়েছে, ফারিয়া থাইল্যান্ডে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন যখন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এই পোস্টগুলো জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, কেউ এটিকে ন্যায়বিচার হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সমালোচনা করছেন।
ভবিষ্যৎ প্রভাব
নুসরাত ফারিয়ার গ্রেফতার বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। তাঁর মতো জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা বিনোদন শিল্পের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। এছাড়াও, এটি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিষয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
ফারিয়ার ভবিষ্যৎ এখন আইনি প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করছে। তাঁর গ্রেফতার বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প এবং জনপ্রিয় সংস্কৃতির উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে এমন এক সময়ে যখন দেশটি রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনা বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক বিভাজন এবং সামাজিক উত্তেজনার একটি প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।