নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনের প্রাক্তন সাংসদ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে (Zunaid Ahmed Palak) শাহাজালাল বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) দুপুরে তাঁকে আটক করা হয় বলে খবর। বিমানবন্দরের আধিকারিকরা তাঁকে আটক করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাঁকে হেফাজতে নেয়।
বিমানবন্দর সূত্র জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন পলক। কিন্তু ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে বিদেশে যেতে দেয়নি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাঁকে বিমানে উঠতে না দিয়ে ইমিগ্রেশন হেফাজতে রাখা হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, এদিন বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বেলা তিনটে নাগাদ পলক তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সঙ্গীরা নিয়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। যাওয়ামাত্র তাঁকে আটক করা হয়। পলকের দুই সঙ্গী নেপালে যেতে চেয়েছিলেন। তাঁদের বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়।
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনের মুখ, হাসিনার পতনের অগ্রদূত, কে এই নাহিদ ইসলাম?
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যেই সোমবার পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর গতিবিধি নিয়েও গুঞ্জন তৈরি হয়। এর মধ্যে গতকাল রাতে নাটোরের সিংড়ায় পলকের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। বিকেলে তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। লুটপাটও চালানো হয় তাঁর বাড়িতে।
গত শুক্রবার (২ অগস্ট) বিকেলে দেশের পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীর কাছে করজোড়ে ক্ষমা চান জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, আমাদের ভুল থাকতে পারে, অপরাধ থাকতে পারে। ভুলের শাস্তি আপনারা আমাদেরকে দেবেন। ভুল সংশোধনের সুযোগ দেবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভুল বুঝবেন না। কারণ শেখ হাসিনা যদি নিরাপদ না থাকেন তাহলে বাংলাদেশ নিরাপদ থাকবে না।
বাংলাদেশের তাণ্ডবের নেপথ্যে কী পাকিস্তান? প্রশ্ন রাহুলের, কী জবাব জয়শঙ্করের?
কোটা আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের সময় বারবার ইন্টারনেট বন্ধ এবং তা নিয়ে নানা মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন পলক। ২০০৮ সালে নাটোর-৩ (সিংড়া) আসন থেকে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন পলক। এরপর তিনবার সাংসদ হন তিনি। ২০১৪ সালে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী হন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর তাঁকে ডাক ও টেলিযোগাযোগের দায়িত্বও দেওয়া হয়।