গণবিক্ষোভে শেখ গাসিনার পতনের পরেই বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (Khaleda Zia) খালেদা জিয়া। তিনি ভিনদেশে কেন যাচ্ছেন?
বিএনপি দলের সুপ্রিম নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গন্তব্য ইংল্যান্ড। দলটির তরফে জানানো হয়েছে সে দেশে আছেন নেত্রীর পুত্র তারেক রহমান। তিনি গত শেখ হাসিনার শাসনে নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলার আসামী। সরকার পতনের পর বাংলাদেশে ফিরতে আইনি চেষ্টা চালাচ্ছেন। পুত্রের কাছেই যাবেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া কেন বাংলাদেশ ছাড়ছেন এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাঁর দল বিএনপির শীর্ষ নেতারা। বলা হয়েছে, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার পুরো প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তার পরিবার ও চিকিৎসকরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। লন্ডনেই তার পরবর্তী চিকিৎসা প্রক্রিয়া শুরু হবে।
৭৮ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি, লিভার সিরোসিসহ নানা রোগে আক্রান্ত। তিনি বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। তাঁর স্বানী জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।
শেখ হাসিনার শাসনে বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায় জেলে গেছিলেন খালেদা জিয়া। অসুস্থ হওয়ায় বিশেষ আ়ইনি প্রক্রিয়ায় তিনি ঢাকায় তাঁর বাসভবন ‘ফিরোজা’-তে থাকার সুবিধা পেয়েছিলেন। বারবার অসুস্থ হলেও তাঁকে অন্য দেশে চিকিৎসার অনুমতি দেয়নি পূর্বতন আওয়ামী লীগ সরকার। গত ৫ আগস্ট গণবিক্ষোভে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তড়িঘড়ি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করা হয়। তাঁকে নতুন পাসপোর্ট দেওয়া হয়।
সম্প্রতি খালেদা জিয়া ফের অসুস্থ হন। এরপর তাঁকে বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার তৎপরতা দেখায় বিএনপি দল। সরকার থেকে আওয়ামী লীগের পতনের পর বিএনপি ফের মূল রাজনৈতিক শক্তি বাংলাদেশে। ফলে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিশ্চিত ছিল।
খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, চিকিৎসা সুবিধা আছে এমন বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা হলেই নেত্রীকে লন্ডনে পাঠানো হবে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বা উন্নত বিমানে চিকিৎসা সরঞ্জাম-সংবলিত কেবিনে খালেদা জিয়াকে রাখার বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।