মেধার ভিত্তিতে চাকরি দাবিতে উত্তাল পদ্মাপারের বাংলা, মার্কিন মন্তব্যে হাসিনার রক্তচাপ বাড়ছে

মেধা হোক মাপকাঠি। সংস্কার হোক কোটা নীতি। এমনই দাবিতে পদ্মাপারের বিরাট বঙ্গভূমি-বাংলাদেশ পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তাল। এই আন্দোলনকারীদের উপর হামলায় অভিযুক্ত শাসকদল আওয়ামী লীগের শাখা সংগঠন…

মেধা হোক মাপকাঠি। সংস্কার হোক কোটা নীতি। এমনই দাবিতে পদ্মাপারের বিরাট বঙ্গভূমি-বাংলাদেশ পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তাল। এই আন্দোলনকারীদের উপর হামলায় অভিযুক্ত শাসকদল আওয়ামী লীগের শাখা সংগঠন ছাত্র লীগ। গত দুদিনে হামলায় পিছু হটলেও মঙ্গলবার থেকে পাল্টা হামলায় যাচ্ছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) কোটা বিরোধী আন্দোলমকারীরা। তারা বলছেন আত্মরক্ষা।

কোটা বিরোধী পড়ুয়াদের সমন্বয় মঞ্চ ও ছাত্র লীগের সংঘর্ষ ছড়িয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকার পরিস্থিতি তীব্র উত্তপ্ত। রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রামে সংঘর্ষ চলে। খুলনা, বরিশালেও দুপক্ষের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ চলেছে। শতাধিক জখম।

   

BBC জানাচ্ছে সরকারি চাকরিতে নির্দিষ্ট কোটা বা সংরক্ষিত আসনের সংস্কার করার দাবিতে আন্দোলন আরও বড় আকার নিতে চলেছে। আদালতের নির্দেশে কোটা ব্যবস্থা বহাল রাখার পর থেকে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ ছবিতে শুরু করে বাংলাদেশে।

AFP জানাচ্ছে, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে টানা বেশ কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলন যুক্তিপূর্ণ নয় বলে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরেই সোমবার ছাত্রলীগ হামলা চালায়। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস।

হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ছাত্রলীগের হামলার নিন্দাও জানিয়েছে দেশটির সরকার। সতর্ক করা হয়েছে বাংলাদেশে থাকা মার্কিন নাগরিকদের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার জানান, বাংলাদেশে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভের বিষয়ে অবগত এবং পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে যেকোনো হিংসার নিন্দা করি। যারা এই হামলার শিকার হয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের সমবেদনা।