হাসিনার পতনে আমাদের ভূমিকা নেই, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে কড়া বার্তা আমেরিকার

গণআন্দোলনের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলে বিতর্ক তুঙ্গে। এই…

short-samachar

গণআন্দোলনের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলে বিতর্ক তুঙ্গে। এই ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে বাইডেন সরকার। হোয়াইট হাউস বলেছে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে উৎখাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নেই।

   

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে বলেন, ‘আমাদের আদৌ কোনও ভূমিকা ছিল না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে যদি কোনও প্রতিবেদনে বলা হয় বা গুজব ছড়ানো হয়, তবে তা নিছক মিথ্যা।
রয়টার্স জানায়, গত রবিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট এর প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সমর্থকদের উদ্দেশে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি ক্ষমতা থেকে উৎখাতের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে বলেছে। বলেছেন মানুষের মৃত্যু এবং সম্পদহানি ঠেকাতেই তিনি সরে গেছেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সেন্ট মার্টিন আর বঙ্গোপসাগর আমেরিকার হাতে ছেড়ে দিলে আমি ঠিকই ক্ষমতায় থাকতে পারতাম।’ প্রতিবেদন প্রকাশের পর শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় অবশ্য দাবি করেছেন, তার মাকে উদ্ধৃত করে যে বিবৃতির খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এসেছেস তা ভিত্তিহীন। জয় লেখেন, ‘সম্প্রতি একটি পত্রিকায় আমার মাকে উদ্ধৃত করে তার পদত্যাগের যে বিবৃতি ছাপা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্নে মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়ের বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ কী হবে সে দেশের জনগণেরেই তা নির্ধারণ করা উচিত এবং আমাদের অবস্থান ঠিক এটাই।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং এরপর গণবিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। এরপর গত ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলছে।