ছাত্র মৃত্যু মানা যায় না, হিংসা নিয়ে হাসিনাকে কড়া বার্তা রাষ্ট্রসঙ্ঘের

বাংলাদেশের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। শিক্ষা ও চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এক উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গণআন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করায় দেশের আইন শৃঙ্খলা সম্পূর্ণ…

Bangladesh unrest

বাংলাদেশের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। শিক্ষা ও চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এক উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গণআন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করায় দেশের আইন শৃঙ্খলা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। এখনও পর্যন্ত একশো জনেরও অধিক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীদের হাতে মার খেয়ে জখম বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মী।

ক্ষতবিক্ষত বাংলাদেশ! সীমান্ত পেরিয়ে প্রাণভয়ে ভারতে ফিরছেন পড়ুয়ারা

   

প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রেরা রাস্তায় নেমে আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় পঠনপাঠন সম্পূর্ণ ব্যহত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাকেও নামানো হতে পারে বলে সেদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিকে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছে রাষ্ট্রসংঘ। ছাত্রদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় কড়া বার্তা দেওয়া হয় হাসিনা সরকারকে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগের প্রধান ভলকার টার্ক শুক্রবার বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জানিয়েছেন, ছাত্রদের উপর হামলা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।

এই ধরনের হামলাকে ‘বিস্ময়কর’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে এই প্রথম রাষ্ট্রপুঞ্জের কেউ মন্তব্য করলেন। যারফলে গোটা ইস্যুটিই আন্তর্জাতিকস্তরে চলে গিয়েছে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

বয়কট ইন্ডিয়া ব্যর্থ হতেই বাংলাদেশে কোটা আন্দোলন!

সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে বাংলাদেশে। আন্দোলনের পুরোভাগে রয়েছেন সে দেশের ছাত্রছাত্রীরাই। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়ে গত সোমবার থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় ছাত্রবিক্ষোভ। পুলিশের গুলিতে ছ’জন ছাত্রের মৃত্যুও হয়। এর পরেই বাংলাদেশের নানা প্রান্তে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভের আগুন। পথে নামেন অগুনতি মানুষ।

চাকরি থেকে জনজাতিদের জন্য সংরক্ষণ বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত কোটা তুলে দেওয়ার দাবি জোরালো হয়। এই আন্দোলনে প্রায় প্রতি দিনই পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ চলছে। সংবাদ সংস্থা এএফপির তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০৫। এই পরিস্থিতি নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্তা।

নাছোড় মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপালের মানহানি মামলায় এবার ডিভিশন বেঞ্চে মমতা

ভলকার শুক্রবার এইি প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে চলতি সপ্তাহে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, আমি তা নিয়ে গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। বহু ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে হিংসার কারণে। আহতের সংখ্যাও প্রচুর। বিশেষত, আন্দোলনকারী ছাত্রদের উপর হামলা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। এটি বিস্ময়কর। ’’ পাশাপাশি ছাত্রদের শান্ত করতে বাংলাদেশের সেনা মোতায়েনর সিদ্ধান্তকেও সমর্থন জানাননি তিনি।