বাংলাদেশের (Bangladesh) অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব উদ্বিগ্ন। এই উদ্বেগ আরও বাড়ল UNICEF (United Nations International Children’s Fund)-এর দেওয়া রিপোর্টে। ইউনিসেফ দাবি করেছে, সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ইস্যুতে বাংলাদেশে চলতে থাকা আন্দোলনে হিংসার বলি একাধিক শিশু। এই রিপোর্টে আন্তর্জাতিক মহলে পড়ল শোরগোল। তীব্র অস্বস্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রসংঘের শিশু ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনিসেফ) এর রিপোর্টে বলা হয়েছে গত ১৯ জুলাই থেকে শুক্রবার ২ আগস্ট পর্যন্ত কমপক্ষে ৩২ শিশু হিংসার বলি। ইউনিসেফের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রধান সঞ্জয় উইজেসেকেরা বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউনিসেফ নিশ্চিত হয়েছে জুলাই মাসের আন্দোলনে সংঘটিত হিংসায় অন্তত ৩২ শিশু নিহত। অনেক শিশু আহত ও আটক হয়েছে। নিহত শিশুদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে ইউনিসেফ।
বিবৃতিতে ইউনিসেফ সব ধরনের শিশুদের আটক বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছে। নিছক উপস্থিতির ভিত্তিতে বা তাদের ধর্ম, পরিবারের সদস্যদের কাজ বা বিশ্বাসের কারণে শিশুদের গ্রেফতার বা আটক করা উচিত নয় বলেছে।
ফের অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, বিদ্রোহী পড়ুয়া বনাম পুলিশের সংঘর্ষে বহু হতাহত
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী ভূমিকার অভিযোগ এনে রবিবার থেকে টানা অসহযোগ আন্দোলন ঘোষণা করল বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চ। সরকারের দাবি, পড়ুয়াদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি করেছে জামাত ইসলামিসহ বিভিন্ন সংগঠন। সন্ত্রাস দমন আইনে জামাতকে নিষিদ্ধ করেছে হাসিনা সরকার।
সরকারের বিরুদ্ধে দমন নীতির অভিযোগ এনে লাগাতার আন্দোলনে সামিল পড়ুয়ারা। শুক্রবার বাংলাদেশ জুড়ে ফের সংঘর্ষ ছড়ায়। একাধিক জখম। কয়েকজন গুলিবিদ্ধ। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের পাশে এসেছে বিভিন্ন গণসংগঠন। পড়ুয়াদের পোস্টারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চরম কটাক্ষ করে লেখা ‘আমরা অনেকদিন হাসি না’।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ডয়েচ ভেলের রিপোর্ট, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত প্রায় ৭৮ শতাংশের শরীরে গুলির ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। বেশিরভাগের গুলি লেগেছে মাথা, বুক, পিঠ ও পেটে। বিক্ষোভে যেমন প্রকাশ্যে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে তেমনই নিহতদের কেউ কেউ নিজের বাড়ির ভিতরে, বারান্দায় ও ছাদে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।