পড়ুয়াদের হুঁশিয়ারি ‘ফিরিও না ১৯৭১’, দেয়াল লিখন পড়তে পারছেন শেখ হাসিনা?

ফিরিও না পাক আমল- অর্থাৎ ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে ছিন্ন হবার জন্য যে সংঘর্ষ করেছিলেন ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানবাসী সেই বার্তাই এবার পড়ুয়াদের বিক্ষোভ থেকে বাংলাদেশ…

short-samachar

ফিরিও না পাক আমল- অর্থাৎ ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে ছিন্ন হবার জন্য যে সংঘর্ষ করেছিলেন ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানবাসী সেই বার্তাই এবার পড়ুয়াদের বিক্ষোভ থেকে বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হল। সরকারের কাছে তিনটি দাবি রেখেছে পড়ুয়াদের মঞ্চ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। দাবি মানার জন্য সরকারের কাছে চরমসীমা দিয়েছে তারা। এরই মাঝে দেশজুড়ে নাশকতা ও রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরির অভিযোগে চলছে ব্যাপক ধরপাকড়। আর শেখ হাসিনার সরকারকে দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিতি এঁকে কঠিন বার্তা দিচ্ছে পড়ুয়ারা।

   

সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ কমানোর দাবিতে পড়ুয়াদের আন্দোলন ঘিরে যে সংঘর্ষ ছড়িয়েছিল তাতে জামাত ইসলামি ও অন্যতম বিরোধী দল বিএনপির উস্কানি সংযোগ স্পষ্ট বলেই জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে যতটুকু কোটা ব্যবস্থা আছে তা বজায় থাকবে। আদালতের নির্দেশে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে।

কারফিউ জারি করে রক্তাক্ত বিক্ষোভ কমলেও গণহারে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে সরব পড়ুয়াদের একাংশ। তাদের গ্রাফিতি বার্তাগুলো বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়েছে। তেমনই একটি দেয়াল লিখন “Dear PM dont repeat 1971”, অপর একটি দেয়াল বার্তা “আমার ভাইদের মারলি কেন?” চরম বিতর্ক উস্কে দিল।

The protesters painted graffiti on the wall and warned the Prime Minister of Bangladesh

বাংলাদেশ সরকারের দাবি, আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন ‘গণভবন’ হামলার ছক করেছিল উগ্র গোষ্ঠীগুলো। অভ্যুত্থানের অভিযোগ এনে জেলে হামলা করে আগ্নেয়াস্ত্র লুটের প্রসঙ্গ টেনেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন রক্তাক্ত এই পরিস্থিতিতে ১৪৭ জন নিহত। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বিশ্বজোড়া বিতর্কের বিষয়।

সরকার বিরোধী বাংলাদেশের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চ দাবি করেছে, সরকার নির্বিচারে গণহত্যা ও গুম চালাচ্ছে। অভিযোগ, পুলিশের গোয়েন্দা শাখা রাতে গুম অভিযান (অপহরণ) চালাচ্ছে। যদিও সরকারের দাবি, নাশকতায় জড়িত উগ্র ইসলামি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চলেছে। সরকারে থাকা দল আওয়ামী লীগের দাবি, আন্দোলনের নামে তাণ্ডবলীলা চালানো হয়েছিল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আরো কঠিন কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে বলে সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছে। এই মঞ্চের তরফে বার্তা “আন্দোলনের মূল দাবি মেনে নেয়া হয়েছে বলে প্রচার করছে সরকার। কিন্তু আমাদের দাবি ছিল কমিশন গঠন করে এই সংকটের সমাধান করা। কিন্তু সেটি করা হয়নি বলেই আমরা এই পরিপত্র প্রত্যাখ্যান করছি।”