‘হাসিনাকে ফেরত দিতে বাধ্য ভারত’, ঢাকা থেকে হুঁশিয়ারি গেল মোদী সরকারের কাছে

বাংলাদেশ থেকে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ভারতে আশ্রিত। তাঁকে বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছে ভারত সরকার। আর গণবিক্ষোভের পর বাংলাদেশেই (Bangladesh) প্রবল দাবি উঠেছে শেখ হাসিনাকে ‘গণহত্যাকারী’ চিহ্নিত করে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণবিক্ষোভে পতন হয় শেখ হাসিনার টানা চার দফার শাসন। এবার হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকা থেকে সরকারি তরফে হুঁশিয়ারি গেল ভারত সরকারের কাছে।

Advertisements

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের কাছে ফেরত চাওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। শনিবার (৩১ আগস্ট) রয়টার্সকে তিনি জানান যেহেতু হাসিনার বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছে। তাই তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে ফেরত চাওয়া হতে পারে। আর বাংলাদেশ যদি হাসিনাকে ফেরত চায় তাহলে ভারত তাকে দিতে বাধ্য থাকবে।

গত ৫ আগস্ট থেকে ভারতে আছেন শেখ হাসিনা। তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। গত ৮ আগস্ট এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ইউনূসের নেতৃত্বে চলা অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, হাসিনাকে ফেরত চাইলে ভারত বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়বে। এটি তারা জানে। ফলে সেভাবেই তাদের কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, “এটি ভারত সরকারের জন্য একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। আমি মনে করি ভারত সরকার এ সম্পর্কে জানেএবং আমি নিশ্চিত এ বিষয়টি তারা বিবেচনায় রাখবে।”

Advertisements

বিবিসি’র খবর, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে। সেই চুক্তির ধারা অনুযায়ী  যদি অনুরোধপ্রাপক দেশের মনে হয় “অভিযোগগুলো শুধুমাত্র ন্যায় বিচারের স্বার্থে, সরল বিশ্বাসে আনা হয়নি” তাহলে তাদের সেটি নাকচ করার ক্ষমতা থাকবে। এই ধারা অনুসারে শেখ হাসিনাকে ভারত সরকার পাঠাবে না।

রয়টার্স ও এএফপিসহ বিভিন্ন সংবাদসংস্থার খবর, যেহেতু শেখ হাসিনার পাসপোর্ট নেই। তাই তার জন্য ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ বিশেষ ব্যবস্থা করে তৃতীয় কোনও দেশে নিরাপদে রাখার চেষ্টা করছে ভারত। যদি সেটি সম্ভব না হয়, তাহলে শেখ হাসিনাকে দিল্লিতেই রাখা হবে।