Bangladesh: মেধায় চাকরির দাবিতে পড়ুয়াদের সামনে ঝুঁকল দুর্জয় হাসিনার সরকার, আলোচনার বার্তা

মেধায় চাকরির দাবিতে দূর্জয় হাসিনা সরকারকে ঝুঁকিয়ে দিল বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা। সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কার করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ আন্দোলনে বাংলাদেশ অগ্নিগর্ভ-রক্তাক্ত। আন্দোলনকারীদের সামনে…

The Bangladesh government agreed to negotiate with the anti-quota activists

মেধায় চাকরির দাবিতে দূর্জয় হাসিনা সরকারকে ঝুঁকিয়ে দিল বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা। সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কার করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ আন্দোলনে বাংলাদেশ অগ্নিগর্ভ-রক্তাক্ত। আন্দোলনকারীদের সামনে ঝুঁকে গেলেন শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা ৪ বার ক্ষমতা ধরে রেখে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘দুর্জয়’ তকমা পেয়েছে। বিরোধীদের অস্তুিত্বই নেই। এবার ঝুঁকলেন হাসিনা।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকার আলোচনায় বসতে রাজি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, আন্দোলনকারীদের আলোচনার প্রস্তাবকে স্বাগত জানায় সরকার। আমাকে ও শিক্ষামন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ওরা চাইলে আমরা আজকেই আলোচনায় বসতে রাজি।

   

রক্তাক্ত পরিস্থিতি বাংলাদেশে। বুধবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের মধ্যে হিংসাত্মক ভূমিকা নেওয়া সবাইকে চিহ্নিত করে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। তিনি বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে। তাঁর ভাষণের পরেই বৃহস্পতিবার “কমপ্লিট শাটডাউন” অর্থাৎ বাংলাদেশ বনধ ডাক দেয় কোটা বিরোধী বিক্ষোভকারীরা। বনধ ঘিরে ফের সংঘর্ষে রক্তাক্ত দেশটি। বৃহস্পতিবারও এসেছে মৃত্যুর সংবাদ। পুরো বাংলাদেশ অচল।

উত্তাল বাংলাদেশ, সেদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের বিশেষ বার্তা হাই কমিশনের

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা আছে ৫৬ শতাংশ। এই কোটার সিংহভাগ বরাদ্দ আছে নথিভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য। সেই বরাদ্দ কমানোর দাবিতেই অনড় পড়ুয়ারা রাজপথে পুলিশের গুলির মুখে আন্দোলন চালাচ্ছেন।

আদালতের নির্দেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংরক্ষণ বজায় রাখা হয়েছে। এই সংরক্ষণ নীতির সংস্কার করে সিংহভাগ নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে করার দাবি তুলে পড়ুয়ারা আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলন ও বিক্ষোভ দমাতে সরকারে থাকা দল আওয়ামী লীগের শাখা সংগঠন ছাত্র লীগ মারমুখী নীতি নিয়েছিল। প্রথমে তাদের হামলা হলেও পরবর্তীতে আন্দোলনকারীদের পাল্টা মারে আরও রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয় হাতছাডা ছাত্র লীগের।