লস অ্যাঞ্জেলেস দাবানল নিয়ে ‘বিস্ফোরক ধর্মীয়’ মন্তব্যে তসলিমার

ভয়াবহ দাবানলের কবলে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র (Los Angeles wildfires) । দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার (California wildfires) বিশাল এলাকা এখন একেবারে দাবানলের গ্রাসে,পুড়ে গেছে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টগুলো। ভয়াবহ এই আগুনে…

Taslima Nasrin's explosive religious comments on the Los Angeles wildfire have sparked controversy. Read more about her viral post and the debate it triggered.

ভয়াবহ দাবানলের কবলে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র (Los Angeles wildfires) । দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার (California wildfires) বিশাল এলাকা এখন একেবারে দাবানলের গ্রাসে,পুড়ে গেছে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টগুলো। ভয়াবহ এই আগুনে ঘর হারিয়েছে বহু হলিউড তারকা। সম্প্রতি, আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসে ভয়াবহ দাবানলের একাধিক ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে, যা দেখে গোটা বিশ্বের মানুষ অবাক হয়ে গেছেন।

তবে এই ধরনের বিপদ বা দুর্ঘটনার সময় সাধারণত কিছু ধর্মীয় গোড়া ব্যক্তিরা একধরনের আপত্তিজনক মন্তব্য করে থাকেন। লস অ্যাঞ্জেলেসের (Los Angeles wildfires) দাবানলও এর বাইরে নয়। সোশ্যাল মিডিয়াতে এমনই কিছু পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। পোস্টগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, দাবানলে পুড়ে যাওয়া বাড়ির মধ্যে একটি বাড়ি অক্ষত রয়েছে, কারণ সেখানে বাইবেল বা কোরান ছিল। 

   

এবার এই ধরনের ধর্মীয় মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। লেখিকা তার সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ছবি শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি বাড়ি দাবানলে পুড়ে যাওয়ার পর, চারদিকে ধ্বংসস্তুপের মধ্যে একমাত্র একটি লাল ছাদওয়ালা বাড়ি অক্ষত রয়েছে। এই পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়াতে (viral post) ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, “খ্রিস্টানরা বলছে, বাড়িটিতে বাইবেল ছিল বলে এটি পুড়েনি, মুসলমানরা বলছে, বাড়িটিতে কোরান ছিল বলে এটি পুড়েনি।”

তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin) তার পোস্টে লিখেছেন, “দ্বিতীয় পক্ষের ধার্মিকেরা মিথ্যা বলছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, “এটা আসলে লস অ্যাঞ্জেলেসের ছবি নয়। এটি ২০২৩ সালের হাওয়াইয়ের ছবি। অনেক কোরান এবং বাইবেল রাখার পরও বহু বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। লাল বাড়িটি অক্ষত থাকার পেছনে কিছু কারণ রয়েছে, তবে এটি ধর্মীয় কারণ নয়। অনেকের ধারণা, বাড়িটির ছাদ মেটালের কারণে এটি পুড়েনি।”

তসলিমা (Taslima Nasrin)আরও বলেন, “ধর্মগ্রন্থ কোনোভাবেই ফায়ারপ্রুফ নয়। যদি কেউ বিশ্বাস না করেন, তবে নিজেদের কাছে থাকা কোরান এবং বাইবেল দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেখে নিন, দেখতে পাবেন যে সেগুলি পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।”তিনি এই লেখাটির সঙ্গে দুটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের স্ক্রিনশটও শেয়ার করেন, একটি পোস্ট ‘Catholic Saints’ নামের পেজ থেকে এবং অন্যটি ‘মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন’ নামে এক ব্যক্তির পোস্ট।