অবরুদ্ধ বাংলাদেশে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই, ফের বার্তা শেখ হাসিনার

ক্ষমতাচ্যুত হলেও শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পরপর বার্তায় বাংলাদেশ (Bangladesh) আলোড়িত হচ্ছে। নিজ দেশে গণহত্যা মামলায় অভিযুক্ত হাসিনা। রক্তাক্ত বিক্ষোভের জেরে  তিনি গত ৫ আগস্ট…

will sheikh hasina back to bangladesh

ক্ষমতাচ্যুত হলেও শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পরপর বার্তায় বাংলাদেশ (Bangladesh) আলোড়িত হচ্ছে। নিজ দেশে গণহত্যা মামলায় অভিযুক্ত হাসিনা। রক্তাক্ত বিক্ষোভের জেরে  তিনি গত ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করে ভারতে চলে গেছেন। এরপর থেকে কয়েকবার তার বার্তা ও ভয়েস মেসেজ এসেছে।

শনিবার (২ নভেম্বর) ফেসবুকে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড পেজে শেখ হাসিনার একটি বিবৃতি আপলোড করা হয়েছে।  রবিবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশে জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের চার শীর্ষ নেতাকে বন্দি অবস্থায় জেলের মধ্যে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনার স্মরণ করেছেন শেখ হাসিনা।

   

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে সেনা বিদ্রোহে সপরিবারে খুন করা হয়। এই ঘটনার পর সেই বছর ৩ নভেম্বর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজকের অবরুদ্ধ বাংলাদেশ কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে পরিণত হয়েছে, যেখানে মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই, শোক পালনের অধিকার নেই। পঁচাত্তরের পরেও কুচক্রিমহল একই পরিবেশ তৈরি করেছিল। আজ প্রশ্ন জাগে, মুক্তিযোদ্ধারা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিল?’

বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির যে কোনও ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকবে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ধারা সমুন্নত রাখবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’

শেখ হাসিনা নিশানায় বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বিবৃতিতে লিখেছেন, ‘কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড ছিল শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতা। এ ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও দেশবিরোধি চক্র বাংলার মাটি থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, প্রগতিশীল রাজনীতি ও আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। ’৭৫-এর সেই ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদদাতারা বিভিন্ন সময়ে দেশের ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে’