বাংলাদেশে (Bangladesh) গণহত্যা চালানোয় অভিযুক্ত শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) রক্তাক্ত গণবিক্ষোভের ধাক্কায় পালিয়ে ভারতে আশ্রিত। তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিতে দাবি উঠেছে। এবার শেখ হাসিনা লাইভ ভাষণ দেবেন বলে জানা গেছে। তার ভাষণ ফেসবুকে সম্প্রচার করবে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। এই সংগঠনটি শেখ হাসিনার নেত্বাধীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন।
গত বছর ৫ আগস্ট গণবিক্ষোভে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর থেকে বাংলাদেশে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার চলছে। এই সরকার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (সংক্ষেপে ছাত্রলীগ) সংগঠন, যেটিকে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে গত ২৩ অক্টোবর নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত ৯টায় বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন শেখ হাসিনা। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড পেজ থেকে পোস্ট দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়। এই পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে শেখ হাসিনার এই ভাষণ প্রচারিত হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। সেখান থেকে নিজের দল আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল যোগাযোগ রাখছেন। তার বক্তব্য বারবার ভাইরাল হয়েছে। প্রতিটি বক্তব্য উসকানিমূলক বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তবে ক্ষমতাচ্যুত হবার পর শেখ হাসিনার কোনো সরাসরি বক্তব্য কোথাও প্রচারিত হয়নি। এবার তার লাইভ ভাষণ দেখা যাবে।
শেখ হাসিনাকে ঘিরে বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সংঘাত চলছে। তাকে প্রত্যর্পণের জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ ইন্টারপোলের সাহায্য নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। কূটনৈতিক সংঘাত প্রশমনে সম্প্রতি ঢাকা সফর করেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। সফর শেষে তিনি নয়াদিল্লি ফিরে বলেন, শেখ হাসিনার কোনও মন্তব্যকে সমর্থন করে না ভারত সরকার।
আকাশবাণী সংবাদ জানিয়েছে, ভারতে পালিয়ে আসা শেখ হাসিনার জন্য রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলকে উদ্যোগী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বাহারুল আলম ঢাকায় গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসের পৌরোহিত্যে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর একথা জানান।
আইজিপি বাহারুল বলেন, গত বছর জুলাই এবং আগস্ট মাসে হাসিনার অধীনে নিরাপত্তা বাহিনী যে অত্যাচার চালিয়েছিল, সেই সময়কালে হত্যার অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার জন্য ১০ টি দল গঠন করা হয়েছে। এই মামলাগুলি ফাস্ট্র্যাক কোর্টে শুনানি হবে। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে হেনস্থার শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে ইউনুস বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যেক নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর।
Sheikh Hasina’s live speech to be broadcast in Bangladesh from banned organization’s Facebook page