Sheikh Hasina’s final words
ঢাকা: “শুট মি, বারি মি হিয়ার, ইন গণভবন”- ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ভোররাতে, সেনা কর্মকর্তারা পদত্যাগ করতে বললে এই এক লাইনে নিজের অবস্থান জানিয়ে দেন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সেই লাইনটাই এখন ঘুরছে রাজনৈতিক মহলের মুখে মুখে।
এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে। প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সেনার চাপ, ছাত্র বিক্ষোভের দাবানল আর দলীয় টানাপোড়েন—সব মিলিয়ে হাসিনার শেষ মুহূর্তের ঘণ্টাগুলো ছিল অত্যন্ত নাটকীয়।
শেষ পর্যন্ত দেশ ছাড়েন হাসিনা
গণভবনে সেই উত্তপ্ত রাতের পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হতে থাকে। অবশেষে হাসিনা ভোররাতে দেশ ছাড়েন, গন্তব্য—ভারত। এরপরেই বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের একটি বড় অংশ গণভবনে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, হাসিনাকে প্রথম পদত্যাগ করতে বলেন তৎকালীন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। কিন্তু আওয়ামী লীগের অন্দরমহলের অনেকেই তাতে রাজি হননি।
ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল ঢাকা Sheikh Hasina’s final words
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট—ঢাকা কার্যত ছাত্র বিদ্রোহে দাউদাউ। শিক্ষার বেসরকারিকরণ, দুর্নীতি আর পুলিশের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে হাজার হাজার ছাত্র। চাঁখারপুল, শাহবাগ, নিউ মার্কেট—যেখানে-সেখানে আগুন, টিয়ার গ্যাস, গুলি।
সেই সময় চাঁখারপুলে সংঘটিত সহিংসতায় একাধিক ছাত্র নিহত ও আহত হন। সেই ঘটনাকে ঘিরেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উঠেছে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ।
ক্ষমতার অপব্যবহার, জনতার রোষ
শুনানিতে তাজুল ইসলাম বলেন, “গণভবনের সেই রাত শুধু রাজনৈতিক নাটক নয়, বরং রাষ্ট্রীয় সহিংসতার বড় উদাহরণ। জনগণের রক্তের দাগ তখনই ছড়িয়েছিল।” তিনি মনে করেন, এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানের বিচার হওয়া দরকার।
কী বার্তা দিচ্ছে এই শুনানি?
শেখ হাসিনার বিদায়, ছাত্র আন্দোলনের ধাক্কা, সেনার অবস্থান—এই ত্রিমুখী টানাপোড়েনের কাহিনি এখন আন্তর্জাতিক মহলের নজর কাড়ছে। ট্রাইব্যুনালে পেশ হওয়া নথি আর স্যাটেলাইট তথ্য এখন সেই শেষ রাতের পাথেয় হয়ে উঠছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, “এই শুনানির পরে শেখ হাসিনার বিদায় শুধু রাজনৈতিক ঘটনা নয়, একটা ঐতিহাসিক অধ্যায় হয়ে থাকবে।”
Bangladesh: Shoot me, bury me here, in Ganabhaban” – Sheikh Hasina’s defiant words as military officers demanded her resignation on August 5, 2024. This dramatic account, revealed at the International Crimes Tribunal, highlights the intense pressure from student protests and internal party rifts that ultimately led to her early morning departure from Bangladesh for India.