স্বাধীনতা দিবসের আগে বাংলাদেশের (Bangladesh) ইউনূস সরকারকে তোপ দাগলেন প্রাক্তণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) ছেলে শেখ ওয়াজেদ জয়। শনিবার এক্স হ্যাণ্ডেলে তিনি রীতিমতো কটাক্ষের সুরে বলেন, “জাতির এক গভীর সংকটময় মুহূর্তে এ বছর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হচ্ছে। স্বাধীনতাবিরোধী এবং বুদ্ধিজীবী নিধনকারীদের দোসররা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারকে হটিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সাধারণ মানুষের উপর অমানবিক নিপীড়ন- নির্যাতন চালাচ্ছে।মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে জামাতে ইসলামীসহ ১৯৭১-এর পরাজিত শক্তিকে পুনর্বাসন করছে। পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের স্মারকচিহ্ন ধ্বংস করেছে। প্রিয় দেশকে জঙ্গিদের উর্বর লীলাভূমিতে পরিণত করছে।”
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়েছেন ভারতীয় সেনারা, রুশ থেকে ফেরাতে তৎপর দিল্লি
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিবৃতি:
আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এদিনে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর, আল-শামস বাহিনী বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। হানাদার…
— Sajeeb Wazed (@sajeebwazed) December 13, 2024
ভারতীয় এআই বিশেষজ্ঞের রহস্যমৃত্যুতে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট ইলন মাস্কের
তাঁর এই আক্রমন তখনই নেমে এল যখন হিন্দু সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে চরম বেকায়দায় বাংলাদেশের ইউনূস প্রশাসন। ভারত সহ আন্তর্জাতিকমঞ্চে রীতিমতো বেকায়দায় ঢাকা। ব্রিটেন, আমেরিকার মতো দেশগুলিও বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতন নিয়ে সরব হয়। সম্প্রতি ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রির ঢাকা সফরে গিয়েও বৈঠক করেন সেদেশের বিদেশ সচিব মহম্মদ জসিমুদ্দিনের সঙ্গে। সেখানেও হিন্দু সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুটিকে নিয়ে চাপ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ওপর। যদিও তারপর সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় ৮০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে বলে জানিয়েছিল ঢাকা। তবে গ্রেফতারি হলেও এখন অব্যাহত রয়েছে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা। বারবার সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে সেই ধরনের খবর। তারই মধ্যে এবার হাসিনা পুত্রের মন্তব্যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
তিনি ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির এসব অপকর্ম বীর বাঙালি কোনদিন মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না। এদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত এবং শান্তি কামনা করছি।”
সিঙ্ঘু সীমান্তে চরম অস্থিরতা, কৃষক আন্দোলনের জেরে স্তব্ধ ইন্টারনেট
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমেই ক্ষোভ বাড়ছে প্রতিবেশি দেশটির শিল্পী-সাহিত্যিক মহলে। তবে পরিস্থিতির কথা বিচার করেই মুখে প্রতিবাদ করতে রীতিমতো ভয় পাচ্ছেন সেদেশের বিশিষ্টমহল। সেই ইস্যুতে সম্প্রতি প্রকাশ্যে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে মন্তব্যে করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ। তিনি ইউনূসকে হিংসা ছেড়ে ‘রাজধর্ম’ পালনের কথা বলেন। যা নিয়ে বেজায় বেকায়দায় পড়তে হয়েছিল ইউনূস সরকারকে। তারপর এবার হাসিনা-পুত্রের মন্তব্য রাজনৈতিক জলঘোলা আরও বাড়াবে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।