বাংলাদেশে রক্তাক্ত রবিবার, প্রকাশ্যে গুলিতে একাধিক খুন, ঢাকার দিকে লং মার্চ আহ্বান

সেনা কর্মীদের সঙ্গে হাসিনার দীর্ঘ বৈঠক চলছে। আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে চলছে গণবিক্ষোভ। আশঙ্কা মিলিয়েই রক্তাক্ত রবিবার দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে। বিবিসি’র খবর সরকারে থাকা…

bangladesh

সেনা কর্মীদের সঙ্গে হাসিনার দীর্ঘ বৈঠক চলছে। আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে চলছে গণবিক্ষোভ। আশঙ্কা মিলিয়েই রক্তাক্ত রবিবার দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে। বিবিসি’র খবর সরকারে থাকা দল আওয়ামী লীগ সমর্থক বনাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চের পড়ুয়াদের সংঘর্ষে একাধিক নিহত। চট্টগ্রামে বহু গুলিবিদ্ধ।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহি, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে মিশে আন্দোলনকারী জনতার দিকে লাগাতার গুলি চালাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে এরা কারা? সরকার বিরোধীদের দাবি, এই বন্দুকবাজরা আওয়ামী লীগের ক্যাডার। চট্টগ্রামে কুড়ি জনের বেশি গুলিবিদ্ধ।

   

নিহতদের মধ্যে যেমন বিক্ষোভকারী আছেন তেমনই সংঘর্ষে মৃত আওয়ামী লীগের সমর্থক। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, রাস্তায় রাস্তায় পড়ে আছে মৃতদেহ। দেশটির সবকটি বিভাগীয় শহর ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর, রাজশাহী অগ্নিগর্ভ। মন্ত্রীদের ঘরে ঘরে হামলায় অভিযুক্ত বিক্ষোভকারীরা।

সরকার পতনের এক দফা দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা জাতীয় সরকার গঠনের দাবিও জানিয়েছে। ৬ আগস্ট মঙ্গলবার ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে অংশ নিয়ে সারা দেশের শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঢাকায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।সর্বশেষ নির্বাচন বয়কট করে সংসদে না থাকলেও বাংলাদেশের মূল বিরোধী দল বলে চিহ্নিত বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন দেশে সরকার বিরোধী গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ইস্যুতে আন্দোলন ঘিরে গত ১৬ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে ১৫০ জনের বেশি মৃত। যাদের বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ। অভিযোগ, আন্দোলন থামাতে সরকারে থাকা দল আওয়ামী লীগের শাখা সংগঠন ছাত্র ও যুব লীগ সদস্যরা হামলা করেছিল। সেই হামলার প্রত্যাঘাত শুরু করেন পড়ুয়ারা। রক্তাক্ত এই সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশের গুলি চালানো পক্ষপাতদুষ্ট বলে আন্দোলন গণবিক্ষোভে পরিণত হয়।

সরকারের দাবি আদালতের নির্দেশে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে জেনেও পড়ুয়াদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে জামাত ইসলামি, বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠন নাশকতা ছড়ায়। জামাতকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। গত জুলাই থেকে যে রক্তাক্ত আন্দোলন ছড়িয়েছে চলতি আগস্টে সেটি আরও বড় আকার নিল। ঢাকার সংবাদ মাধ্যমগুলিতে বলা হয়েছে, আন্দোলন দমনে সরকারের ভূমিকা ভয়াবহ ও নির্বিচারে গুলি করে খুনের অভিযোগে পড়ুয়াদের অভিভাবক ও জনতা সামিল।