জাতীয় নির্বাচনের আগে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশে (Bangladesh)।একাধিক উপজাতি রাজনৈতিক নেতাকে গুলি করে খুন করা (Gunman Attack) হয়েছে। এই সংঘর্ষ ঘটেছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের লাগোয়া এলাকা পানছড়িতে। বাংলাদেশ পুলিশ জানাচ্ছে, চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে দুটি সংগঠনের মধ্যে মধ্যে তীব্র গুলির লড়াই হয়।
সোমবার রাতের এই সংঘর্ষে কমপক্ষে চারজন নিহত। আরও কয়েকজন নিখোঁজ। নিহতরা সবাই ইউপিডিএফ (প্রসীত) গোষ্ঠীর নেতা। নিহতরা হলেন বিপুল চাকমা লিটন চাকমা সুনীল ত্রিপুরা ও রুহিনসা ত্রিপুরা। নিখোঁজ কমল ত্রিপুরা, নীতিদত্ত চাকমা, হরিকমল ত্রিপুরা ও সদস্য প্রকাশ ত্রিপুরা। অভিযোগ, পার্বত্য চট্টগ্রামের আরও একটি দল গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ দল হামলা চালিয়েছে। তবে এই সংগঠনটির নেতা শ্যামল চাকমা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, পাহাড়ি এলাকায় কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠন রয়েছে। তারা এই ঘটনা ঘটাতে পারে।
বাংলাদেশ পুলিশ জানাচ্ছে,সোমবার রাতে পানছড়ি উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেহপুর এলাকায় ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দলের একটি রাজনৈতিক সমাবেশের পর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৫৫ থেকে ৬০ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়। সম্মেলনে আসা চার নেতাকে রাতে হত্যা করা হয়। পানছড়ি থানার ওসি শফিউল আজম বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চারজন নিহত হওয়ার ঘটনা আমাকে জানিয়েছে।
পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশ তৈরির পর পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিরা স্বশাসনের দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলনে নেমেছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গঠিত হয়। টানা রক্তাক্ত সংঘর্ষের পর সেই সংগঠনটির নেতা জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ( সন্তু লারমা) ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকারে সাথে শান্তি চুক্তি করেন। ততকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অস্ত্র সমর্পণ করেন সন্তু লারমা। এট পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি (Chittagong Hill Tracts Peace Accord ) নামে পরিচিত। পরে এই জনসংহতি সমিতি ভেঙে একাধিক পার্বত্য উপজাতি সংগঠন তৈরি হয়। তাদের মধ্যে পারস্পরিক সংঘাতে আগেও গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে।