চিন্ময়কৃষ্ণর ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ মামলায় আইনজীবী খুনে ধৃত চন্দন, চট্টগ্রাম সরগরম

বাংলাদেশি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা চলাকালীন চট্টগ্রাম আদালতে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল সরকারি আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে। এই খুনের রেশ ধরে পরিস্থিতি উত্তরোত্তর গরম হয়েছে।…

sedition case of Chinmoy Krishna Das

বাংলাদেশি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা চলাকালীন চট্টগ্রাম আদালতে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল সরকারি আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে। এই খুনের রেশ ধরে পরিস্থিতি উত্তরোত্তর গরম হয়েছে। আইনজীবী খুনে অভিযুক্ত ধৃত। তার নাম চন্দন দাস। অভিযোগ সে ইসকন সমর্থক হয়ে চিন্ময়কৃষ্ণর গ্রেফতারির বিরোধিতা করে সংঘর্ষে নেমেছিল। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তাকে চিহ্নিত করা হয়। ( sedition case of Chinmoy Krishna Das)

ঠিক কী হয়েছিল? sedition case of Chinmoy Krishna Das

গত ২৫শে নভেম্বরে চিন্ময়কৃষ্ণকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে। জাতীয় পতাকার উপরে ধর্মীয় পতাকা রাখার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা চলছে। গত ২৬শে নভেম্বর তাকে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলাম তার জামিন আবেদন নাকচ করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। শুরু হয় বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভ চলাকালীন সরকারি আইনজীবীকে কুপিয়ে খুন করা হয়।

   

চন্দন দাস গ্রেফতার sedition case of Chinmoy Krishna Das

চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত‍্যা মামলার প্রধান আসামী চন্দন দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে তাকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এই চাঞ্চল্যকর মামলার পরেই সিসিটিভি থেকে একাধিক হামলাকারী চিহ্নিত হয়েছে। একটি ছবিতে দেখা যায় রামদা হাতে এক ব্যক্তিকে। সেই আ়ইনজীবী সাইফুলকে খুন করে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত হয় চন্দন দাস। তাকে গ্রেফতার করার পর সরগরম চট্টগ্রাম সহ পুরো বাংলাদেশ। ইসকন সংগঠন নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। এর রেশ ছড়িয়েছে ভারতে।

বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক উত্তেজনা চরমে sedition case of Chinmoy Krishna Das

বাংলাদেশে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ অভিযোগে গ্রেফতারের পর থেকে ভারতে ইসকনসহ বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন ও বিজেপি প্রতিবাদে সামিল। সেই রেশ ধরে সোমবার (২ জিসেম্বর) আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ থেকে হামলা চালায় হিন্দুত্ববাদীরা। দূতাবাসে হামলার জেরে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের তরফে আগরতলার দূতাবাস থেকে ভিসা প্রদান বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক উত্তেজনা চরমে ওঠে। পরে সেদিনই ভারতের তরফে দু:খ প্রকাশ করা হয়।

কোনো আইনজীবীকে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি 

বিবিসি’র খবর, সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসের জামিন শুনানিতে মামলা, হামলা এবং প্রাণনাশের হুমকির মুখে কোনো আইনজীবীকে তার পক্ষে আদালতে দাঁড়াতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। কেন আইনজীবীরা চিন্ময় দাসের মামলা লড়তে আদালতে ছিল না এর কারণ সম্পর্কে সম্মিলিত সনাতনী জোটের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, “আইনজীবী ছিল না তা নয়, কোনো আইনজীবীকে আদালতে দাঁড়াতে দেওয়া হয় নাই।”

চট্টগ্রামে সংঘর্ষ

বিবিসি’র খবর, বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। রাষ্ট্রদ্রোহে বন্দি চিন্ময়কৃষ্ণ ইসকনের দীক্ষিত। ইসকন বাংলাদেশ শাখা জানিয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির কোনও কর্মকাণ্ডের দায় নেওয়া হবে না। পরে তার পক্ষে সরব হয় ইসকন।

আদালতেই খুন হওয়া সরকারি আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ (৩৫) কে বাংলাদেশ জামাত ইসলামি তাদের সংগঠনের সদস্য বলে দাবি করেছে। চিন্ময়কৃষ্ণর মামলা ও আইনজীবীকে খুনের ঘটনায় চট্টগ্রামে সংঘর্ষ ছড়ায়। একাধিক জখম। এই মামলায় শয়ে শয়ে অভিযুক্ত। চলছে ধরপাকড়।

Bangladesh: Bangladeshi monk Chinmoy Krishna Das’s sedition case trial was ongoing when government lawyer Saiful Islam was stabbed to death in the Chattogram court