BNS Sheikh Hasina: গোপনে বাংলাদেশে সাবমেরিন ঘাঁটি (secretive submarine base) বানাচ্ছে চিন। এমন চিত্র ধরা পরেছে স্যাটেলাইট ইমেজে। এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ইন্ডিয়ান ডিফেন্স নিউজ (Indian Defence News) পোর্টালে। বাংলাদেশে, চিন-নির্মিত সাবমেরিন ঘাঁটির মনিটরিং ছবি থেকে স্পষ্ট যে সাইটে একটি ড্রাই ডকের ছবি দেখা যাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে যে এই dry dock সাবমেরিন রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করবে। চিনের এই বর্ধিত প্রতিরক্ষা সহযোগিতার প্রচেষ্টা বেইজিংকে এই অঞ্চলে তার উপস্থিতি ও প্রভাবকে দৃঢ় করতে সাহায্য করে। @detresfa_ এর ডেমিয়েন সাইমন তার টুইটার হ্যান্ডেলে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন।
জানা যাচ্ছে চিন বাংলাদেশে এই সাবমেরিন ঘাঁটি তৈরি করে, এর সাহায্যে চিনারা ভারতীয় নৌবাহিনীর উপর গোয়েন্দাগিরি করতে পারে। এই সাবমেরিন ঘাঁটির নাম দেওয়া হয়েছে বিএনএস শেখ হাসিনা (BNS Sheikh Hasina)। চিনের সহায়তায় বাংলাদেশে নির্মিত সাবমেরিন ঘাঁটির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। সম্প্রতি, সাবমেরিন বেসের স্যাটেলাইট ভারতের নিরাপত্তা মহলকে চিন্তায় ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ছবিতে একটি ড্রাই ডক দেখা যাচ্ছে, যেখানে সাবমেরিনের মেরামত করা হয়। ড্রাই ডকের দৈর্ঘ্য 135 মিটার এবং প্রস্থ প্রায় 30 মিটার।
এই সাবমেরিন ঘাঁটিটি বাংলাদেশের কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিএনএস শেখ হাসিনার নামে নির্মাণ করা হচ্ছে এবং এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় $1.21 বিলিয়ন। এই ঘাঁটি 1.75 বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ঘাঁটি নির্মাণ শুরু হয় 2020 সালে এবং 2023 সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক চিনা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে একটি সাবমেরিন ঘাঁটি হওয়ার পর আশা করা হচ্ছে, চিন শিগগিরই লজিস্টিক ও কৌশলগত অ্যাক্সেস পাবে। এটিকে সাবমেরিন কূটনীতি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা, কারণ চিনও বাংলাদেশকে দুটি সাবমেরিন দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে মেরামত ও আপগ্রেডের জন্য চিনা সাবমেরিনগুলো এখন বাংলাদেশের ঘাঁটিতেই আনা হবে।