ঢাকা: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে’ দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে দেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। রায় ঘোষণার আগেই এমন ফলাফলের ইঙ্গিত পেয়েছিলেন তার পুত্র ও আওয়ামী লীগ নেতা সাজীব ওয়াজেদ জয়। রায় ঘোষণার পর আবারও তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং পুরো প্রক্রিয়াটিকেই ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ আখ্যা দিয়েছেন।
বিচারের নামে প্রহসন
জয় ‘ইন্ডিয়া টুডি’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, “বিচারের নামে একটি প্রহসন হয়েছে। এই সাজা যে আগে থেকেই স্থির ছিল, তা সকলেরই জানা ছিল। বিচার প্রক্রিয়া তাড়াহুড়ো করে সম্পন্ন করা হয়েছে, মাত্র ১০০-১৪০ দিনের মধ্যে।” তিনি বলেন, এই অস্থির সময়ে সরকারের দিক থেকে আইন সংশোধন করা হয়েছে যা “অনির্বাচিত, অসাংবিধানিক এবং অগণতান্ত্রিক” ছিল।
গত বছরের ৫ অগস্ট বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর হাসিনা ভারতে চলে আসেন। তার অনুপস্থিতিতেই ঢাকার ট্রাইবুনালে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলেছে। সাজীব জয় অভিযোগ করেন, “মাকে তাঁর পছন্দের আইনজীবী বেছে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। আদালতই আইনজীবী ঠিক করেছে। এটি বিচারের নামে উপহাস ছাড়া কিছুই নয়।”
আপিলের জন্য অপেক্ষা Sajeeb Wazed on death verdict
জয় আরও বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে আইনের শাসন নেই। আইনের শাসন ফিরে না আসা পর্যন্ত যে কোনো আপিলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তখন এই রায় বাতিল হবে।” তাঁর দাবি, মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি ন্যায়বিচারের জন্য, বরং এটি ‘প্রতিশোধ নেওয়ার প্রক্রিয়া’।
সাজীব জয় বলেন, ওই অস্থিরতার সময়ে আওয়ামী লীগের অনেক কর্মীকে আটক করা হয়েছিল। অনেক পুলিশকর্মীও নিহত হয়েছেন। কিন্তু মামলা হয়েছে শুধুমাত্র হাসিনাদের বিরুদ্ধে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন আইনকেও ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়েছেন, যা শুধুমাত্র একপক্ষকে ন্যায়বিচার দেবে, অন্যপক্ষকে নয়।
Bangladesh: Sajeeb Wazed Joy slams the death sentence against Sheikh Hasina as a “political farce” by an “unconstitutional” tribunal, citing denied legal rights and rushed proceedings.
