ছাত্র আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা প্রায় বাতিল, মেধায় নিয়োগ ৯৩%

quota in government jobs in Bangladesh is almost canceled due to the movement,

সরকারি চাকরিতে কোটা প্রায় বাতিল হয়ে গেল  বাংলাদেশে। এই কোটা ছিল ৫৬ শতাংশ। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। কোটা সংস্কার ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ চেয়ে পড়ুয়াদের দাবি যৌক্তিক তা মেনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অভিযোগ, কোটার অন্তর্গত মুক্তিযোদ্ধাদের অংশটি নিয়ে তাঁর ‘রাজাকার’ মন্তব্যের জেরে রক্তাক্ত গণবিক্ষোভ সংঘটিত হয়। শতাধিক নিহত। বাংলাদেশে চলছে কারফিউ।

Advertisements

রক্তাক্ত এই আবহে তড়িঘড়ি রবিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের শুনানি হল। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে বলে রায় দিল।

বিবিসির খবর, কোটা পুর্নবহালের হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আপিল বিভাগ বলেছে, এখন থেকে সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা আর ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী-তৃতীয় লিঙ্গ কোটা হিসাবে থাকবে। তবে সরকার চাইলে এই কোটার হার কম-বেশি করতে পারবে। সরকারকে এই বিষয়ে নোটিশ জারি করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলের শুনানির পরপ্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রায় দেয়।

বিশেষ সূত্রে শনিবার Kolkata 24×7 “রবিবার কোটা বাতিল? রক্তাক্ত বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ” এই শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। রবিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে দেখা যাচ্ছে মাত্র ৭ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। এই রায় বাংলাদেশের ইতিহাসে যুগান্তকারী। কারণ, পাকিস্তান থেকে ১৯৭১ সালে ছিন্ন হবার পর বাংলাদেশে বেশ কয়েকবার কোটা নিয়মের সংস্কার হয়। সর্বশেষ সংস্কার অনুসারে সরকারি নিয়োগে কোটা ছিল ৫৬ শতাংশ। এই নিয়মের সংস্কার চেয়ে দেশের পড়ুয়ারা একজোট হন। হাইকোর্টের এক রায়ে পুরো কোটা সংস্কার বিষয়টি বাতিল হয়। তার প্রেক্ষিতে পড়ুয়াদের আন্দোলন পরে গণবিক্ষোভে পরিণত হয়।

Advertisements

‘কোটা সংস্কার ও মেধায় হোক নিয়োগ’ এই অবস্থানে অনড় বাংলাদেশের পড়ুয়ারা। তাদের অভিযোগ, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কোটা কমানোর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ বলে অপমান করেন। ‘রাজাকার’ শব্দটি বাংলাদেশে বিতর্কিত। দেশটির স্বাধীনতার যুদ্ধে পাকিস্তানপন্থীদের ‘রাজাকার’ বলে চিহ্নিত করা হয়। ফলে পড়ুয়ারা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। শুরু হয় বাংলা ব্লকেড নামে অবরোধ।

বিবিসির খবর, এই আন্দোলন দমনে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শাখা সংগঠন ছাত্র লীগকে আক্রমনাত্মক ভূমিকা নিতে দেখা গেছে। কোটা সংস্কারের বিক্ষোভকারীরা ও ছাত্র লীগের সংঘর্ষ বাংলাদেশ জুড়ে রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। টানা সংঘর্ষের চেহারা ক্রমে সরকার বিরোধী গণবিক্ষোভের রূপ নেয়

বাংলাদেশ সরকার জানায় পড়ুয়াদের দাবি যৌক্তিক তবে তাদের আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে দেশবিরোধী উগ্র ধর্মান্ধ জামাত ইসলামিসহ বিভিন্ন গোষ্ঠি সরকার বিরোধী অভ্যুত্থানের ছক করেছিল।