ঢাকা: হাসিনা জমানার পর বাংলাদেশে ক্রমেই কট্টরপন্থীদের বাড়বাড়ন্ত৷ সম্প্রতি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক কিরাত কনফারেন্সে কট্টরপন্থী ধর্মীয় নেতারা ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান তুললেন। অনুষ্ঠানে পাকিস্তান থেকে আগত অতিথিরাও উপস্থিত ছিলেন এবং বারবার পাকিস্তানের জয়োৎসবের স্লোগান উচ্চারণ করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয়োৎসবের মাত্র কয়েক দিন আগে এই ঘটনা সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে।
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে সোয়াতুল কুরান
সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানাচ্ছে, অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে সোয়াতুল কুরান নামের একটি ধর্মীয় সংগঠন। মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নে ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে বিভিন্ন দেশের কট্টরপন্থী ধর্মীয় নেতারাও অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
স্থানীয়দের একটি বড় অংশ এই স্লোগানকে অসন্তোষ ও প্রতিবাদের বিষয় হিসেবে দেখছেন। তারা মনে করছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে অবমূল্যায়ন করা এবং পাকিস্তানের সমর্থনে এমন উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড সমাজে বিভাজন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।
সীমান্তে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড Pakistan Zindabad Slogan Bangladesh
রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, জামাত-ই-ইসলামির সঙ্গে পাকিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনের সমন্বয় এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় এই ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড ভারতের সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়োৎসবের আগে এই ঘটনা কূটনৈতিক এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়
বাংলাদেশে ১৬ ডিসেম্বর উদযাপিত হয় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়। স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মানকে বিবেচনা করলে, পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান তোলার মতো কর্মকাণ্ড দেশের ঐতিহাসিক বোধ ও সামাজিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে বিরোধ তৈরি করছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী ইতিমধ্যেই ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড সামাজিক নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও জোরদারের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করছে।
