সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে একটি সামরিক প্রতিনিধি দল (Pakistan ISI Chief in Bangladesh) বাংলাদেশে আসে। ওই প্রতিনিধি দলের মধ্যে চারজন পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন। যারা ৩ দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছান।
তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই সফরের বিষয়ে কোনো সরকারি বিবৃতি বা মুখোমুখি মন্তব্য করা হয়নি। অন্যদিকে বাংলাদেশ সেনার ৬ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পাকিস্তান সফর করেছেন। ১৭ জানুয়ারি, ৬ দিনের এই সফর শেষ করে তারা বাংলাদেশে ফিরে আসেন। আর তার পরেই, পাক সেনাদল বাংলাদেশে আসে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও এই সফরের ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য প্রকাশ করা হয়নি।
এই পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মালিকের (Pakistan ISI Chief in Bangladesh) উপস্থিতি, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার নজর কেড়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মালিক(Pakistan ISI Chief in Bangladesh) হলেন পাকিস্তানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থা। ইন্টার সার্ভিসেস ইনটেলিজেন্স (আইএসআই)-এর প্রধান। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। তিনি হলেন আইএসআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল মেজর জেনারেল শহিদ আমির আফসার।
এই চার সদস্যের দলটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন মেজর জেনারেল আলম আমির আওয়ান এবং পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ (এসএসজি)-এর কর্মকর্তা মুহাম্মদ উসমান লতিফ। একাধিক সূত্রের মতে, পাকিস্তানী এই প্রতিনিধি দলটি ইকে৫৮৬ নম্বর এয়ারলাইনসের একটি উড়ানে দুবাই থেকে ঢাকায় পৌঁছায়। বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর, তাদের ঢাকা বিমানবন্দরে স্বাগত জানান বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-এর ব্রিগেডিয়ার মেহদি। এই সফর নিয়ে অনেকটাই গোপনীয়তা রক্ষা করা হলেও, পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলের গতিবিধি নিয়ে বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানি এই চার সেনা কর্মকর্তা ঢাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে থাকেন। তারা বিভিন্ন স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করছেন। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, এই পাকিস্তানি দলের সদস্যরা গাজীপুরের একটি অস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারা বৈঠক করে বিভিন্ন সামরিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এদিকে, বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে এই সফর নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে। বিশেষত, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মালিকের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। তিনি পাকিস্তানের অন্যতম ক্ষমতাশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের একজন। এই সফর সামরিক সম্পর্ক এবং গোয়েন্দা কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে গভীর কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্ব বহন করছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে এই সফর নিয়ে আলোচনা চলছে কিন্তু কোন পক্ষ থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে সফরের উদ্দেশ্য বা বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। বাংলাদেশে, পাকিস্তানের এই সফর ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।