Durga Puja: সেনা কপ্টারে আকাশ থেকে দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা দেবে ড. ইউনূসের সরকার

আসন্ন দুর্গাপূজা (Durga Puja)  উপলক্ষে বাংলাদেশের (Babgladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের আশঙ্কা নাশকতার চেষ্টা করবে বলে মনে করছে ড. ইউনূসের (Muhammad Yunus).নেতৃত্বে চলা অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের…

আসন্ন দুর্গাপূজা (Durga Puja)  উপলক্ষে বাংলাদেশের (Babgladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের আশঙ্কা নাশকতার চেষ্টা করবে বলে মনে করছে ড. ইউনূসের (Muhammad Yunus).নেতৃত্বে চলা অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের আশঙ্কা, শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনকে পুন:প্রতিষ্ঠার জন্য নাশকতার চেষ্টা চলছে। তাদের লক্ষ্যবস্তু হতে চলেছে দুর্গাপূজা। জানানো হয়েছে, আকাশ থেকে শারদোৎসবের নিরাপত্তা দিতে তৈরি সরকার।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, দুর্গাপূজার সময় নিরাপত্তায় আকাশে হেলিকপ্টার থাকবে। দশমীর দিন প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় ডুবুরি থাকবে।

   

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ধর্ম মন্ত্রকের সভাকক্ষে দুর্গাপূজার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠক হয়। এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।  বৈঠক শেষে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন জানান, বিগত দিনে দুর্গাপূজার আগে দুই থেকে তিন কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হত। এবারই প্রথম পূজায় ৪ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তালিকা করে অসচ্ছল মন্দিরগুলোকে এই চার কোটি টাকা জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, অন্যান্য বছরের মতো উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন করবেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এবার দেশজুড়ে ৩২ হাজার ৬৬৬ মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপন হবে। ঢাকায় ২০৫টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন হবে। পূজা উপলক্ষে দেশজুড়ে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা কঠোর থাকবে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। নির্বিঘ্নে করতে মাদ্রাসার ছাত্ররা স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করতে রাজি।

গণবিক্ষোভে বাংলাদেশে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্গাপূজায় বারবার সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছিল। ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তী সরকারসহ বিভিন্ন দলের নেতারা বলতে শুরু করেছেন, ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে হামলা চালিয়ে হিন্দুদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করে তাদের ভোট নিজেদের পক্ষে ধরে রাখার কৌশল নিয়েছিল আওয়ামী লীগ ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অভিযোগ উড়িয়ে আওয়ামী লীগের দাবি, তারা ধর্মনিরপেক্ষ দল। দলনেত্রী শেখ হাসিনা দুর্গাপুজায় অংশ নিতেন।