বাংলাদেশে পীরের দরগা ভাঙলেন মুসলিমরা, নীরবে দেখল পুলিশ

ইসলামি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালীন হামলা হল। এই হামলায় জড়িত মুসলিমরা। এমনই ঘটনার কেন্দ্র বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজশাহী। শুক্রবারের ধর্মীয় উপাসনার পর হামলা হয়েছে ওই ধর্মস্থানে। পরিস্থিতি…

Muslims themselves have been accused of the attack and vandalism at a dargah in Bangladesh

ইসলামি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালীন হামলা হল। এই হামলায় জড়িত মুসলিমরা। এমনই ঘটনার কেন্দ্র বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজশাহী। শুক্রবারের ধর্মীয় উপাসনার পর হামলা হয়েছে ওই ধর্মস্থানে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

ধর্মীয় স্থানটির নাম হক বাবা গাউছুল আজম মাইজ ভান্ডারী গাউছিয়া পাক দরবার শরিফ। খানকা শরিফ নামেও এটি পরিচিত। রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের পানিশাইল চন্দ্রপুকুর গ্রামে এই ধর্মীয় স্থানে হামলা হয়েছে।

   

Bangladesh: বাংলাদেশে পীরের দরগা ভাঙলেন মুসলিমরা

জানা গেছে এলাকার বাসিন্দা আজিজুর রহমান ভান্ডারী প্রায় ১৫ বছর আগে বাড়ির পাশে নিজের জায়গাতেই এই খানকা শরিফ করেন। তিনি তার ভক্তদের কাছে ‘পীর’ হিসেবে পরিচিত।

প্রতিবছর ঈদে মিল্লাদুন্নবী পালিত হয়। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন দিনের আয়োজন ছিল। সেখানে নারী শিল্পীরা আসছিলেন। ভান্ডারী ও মুর্শিদী গান হচ্ছিল। তা নিয়ে আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল।
শুক্রবার নামাজের পর হামলার আশঙ্কায় দুই গাড়ি পুলিশ নিয়ে ছিলেন স্থানীয় থানার ওসি মনিরুল ইসলাম। অভিযোগ, হামলার সময় পুলিশ ছিল দর্শকের ভূমিকায়। কাউকে বাধা দেননি তারা।

Advertisements

হামলার একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, শতশত মুসলিম ওই পীরের দরগা আক্রমণ করেছেন। ‘পীর’ আজিজুর রহমান ভান্ডারী বলেছেন, ‘‘কয়েকদিন ধরেই এলাকার কিছু লোক আমাদের অনুষ্ঠানে বাধা দিচ্ছিল। শুক্রবারের নামাজের পর তারা একত্রিত হয়ে হামলা চালায়। ভক্তরা আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে দেয়নি। তাই তারা আমার বাড়ি লক্ষ্য করেও ইট-পাটকেল ছুঁড়েছে।’

ওসি মনিরুল ইসলাম বলেছেন, উত্তেজিত জনতা খানকা শরিফটি ভেঙে ফেলে। মানুষ এত বেশি, অল্প কয়েকজন পুলিশের কিছু করার ছিল না। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।