HomeWorldBangladeshইউনূসের সঙ্গে আল কায়েদা যোগের দাবি বাংলাদেশ ম্যাগাজিনের

ইউনূসের সঙ্গে আল কায়েদা যোগের দাবি বাংলাদেশ ম্যাগাজিনের

- Advertisement -

ঢাকা, ২৮ নভেম্বর: বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ব্লিটজ’-এর একটি তদন্তমূলক প্রতিবেদনে বিস্ফোরক এক অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের বিশ্বব্যাপী ‘গ্রামীণ নেটওয়ার্ক’-এর সাথে আল-কায়েদার অর্থায়নকারীদের সংযোগ রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওসামা বিন লাদেন এবং আল-কায়েদা নেটওয়ার্কের ফিনান্সার হিসেবে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দ্বারা চিহ্নিত ব্যক্তিদের সাথে ইউনুসের এই মাইক্রোফাইন্যান্স সাম্রাজ্যের গভীর যোগাযোগ রয়েছে।

   

সম্রাটের এনকাউন্টার তালিকায় এবার ওয়ান্টেড ১২০০

এই অভিযোগের ফলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে, বিশেষ করে পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রেক্ষাপটে। বিশ্লেষকরা প্রশ্ন তুলছেন, এই সংযোগ কি পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনগুলোর বাংলাদেশে প্রসারের পথ প্রশস্ত করছে?প্রতিবেদনটি ২৭ নভেম্বর প্রকাশিত হয়েছে, যাতে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে যে, ইউনুসের গ্রামীণ ব্যাংক এবং তার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সৌদি আরবের এক বিখ্যাত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ জামিলের যোগাযোগ রয়েছে।

২০০৩ সালে ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এ প্রকাশিত সিআইএ-ভিত্তিক একটি তালিকায় জামিলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে ওসামা বিন লাদেনের প্রধান অর্থদাতাদের মধ্যে। জামিল ‘গ্রামীণ-জামিল মাইক্রোফাইন্যান্স’-এর বোর্ড সদস্য ছিলেন, যা মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং তুরস্কে মাইক্রোফাইন্যান্স প্রসারের জন্য কাজ করে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০টি দেশে ২২ লক্ষেরও বেশি ক্লায়েন্টকে ৬৫ মিলিয়ন ডলারের ফাইন্যান্সিং দিয়েছে।

‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, জামিলের সাথে যুক্ত ধনী সৌদি ব্যবসায়ীরা আল-কায়েদা অর্থায়নের অভিযোগে লন্ডন হাইকোর্টে মানহানির মামলা করেছিলেন। এছাড়া, গ্রামীণের সাথে মুসলিম ব্রাদারহুডের অভিযোগও উঠেছে, যা ইউনুসের বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্বকে আরও সন্দেহের মুখে ফেলেছে।

ইউনুসকে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যবিমোচনের পথিকৃৎ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এই অভিযোগগুলো তার ইমেজে কালো ছায়া ফেলেছে। গ্রামীণ নেটওয়ার্ক, যা বিল ক্লিনটন, হিলারি ক্লিনটন এবং জর্জ সোরোসের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সমর্থন পেয়েছে, এখন বিশ্বব্যাপী কাউন্টারটেররিজম সংস্থাগুলোর নজরদারিতে রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গ্রামীণের আর্থিক কার্যকলাপ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছিল, কিন্তু হিলারি ক্লিনটনের কূটনৈতিক চাপে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ইউনুস ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে উল্লেখযোগ্য দান করেন। এই ঘটনা ইউনুসের রাজনৈতিক সংযোগকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

এই অভিযোগের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর উত্থানের প্রশ্ন উঠেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে জামায়াত-ই-ইসলামী এবং হেফাজতে ইসলামের মতো সংগঠনগুলোর প্রভাব বেড়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্র জানাচ্ছে, পাকিস্তানের আইএসআই বাংলাদেশকে ‘তালিবানীকরণ’-এর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular