বাংলাদেশের (Bangladesh) আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী-অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন (Meher Afroz Shaon) রাষ্ট্রদ্রোহ অভিযোগ নিজ দেশের গোয়েন্দা বিভাগের জেরার মুখে পড়েছিলেন। টানা কুড়ি ঘণ্টার বেশি জেরা করে তাকে ছাড়া হলো।
শুক্রবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, অভিনেত্রী, গায়িকা ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন এবং অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, শাওন হলেন কিংবদন্তি সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী। সম্পর্কসূত্রে তিনি বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সৎ শাশুড়ি। তিনি ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগের সমর্থক।
মেহের আফরোজ শাওনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র অভিযোগ আনার কারণ, তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশের অভ্যম্তরীণ বিষয় ও সরকার পরিচালনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তাকে আটক করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা কার্যালয়ে শাওনকে জেরা করা হয়।
গত ১৫ জানুয়ারি কলকাতার হোটেল পার্কে অনুষ্ঠিত সভায় সরাসরি এবং ভার্চুয়ালি যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে মেহের আফরোজ শাওনের নাম উঠে আসে। এরপর তাকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়। অভিনেত্রীকে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে নিজেদের হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্রে জানা গেছে, অপর অভিনেত্রী শাওন ও অভিনেত্রী সোহানা সাবা নজরদারিতে ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে জেরা চলেছে। আওয়ামী লীগপন্থি শিল্পীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’ এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন সোহানা সাবা। এই গ্রুপটির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উসকানির অভিযোগ আছে।
অভিনেত্রী শাওনের স্বামী প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদ। তাঁর প্রথম পক্ষের সন্তানদের মধ্যে শীলা আহমেদের সমবয়সী শাওন। কন্যাসম শাওনকে বিয়ে করার আগে প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন আহমেদের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করেছিলেন নন্দিত সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। শাওনের দুই পুত্র।