রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর জেল, বাংলাদেশে সনাতনী বিক্ষোভ

রাষ্ট্রদ্রোহে মামলায় বাংলাদেশ (Bangladesh) সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ ঐক্যজোটের মুখপাত্র ও ইসকন (ISKCON) থেকে বহিষ্কৃত চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিল আদালত।…

short-samachar

রাষ্ট্রদ্রোহে মামলায় বাংলাদেশ (Bangladesh) সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ ঐক্যজোটের মুখপাত্র ও ইসকন (ISKCON) থেকে বহিষ্কৃত চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিল আদালত। এই বাংলাদেশি হিন্দু নেতার বিরুদ্ধে বিতর্কিত উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ আছে। সোমবার তাকে গ্রেফতার করা হয় ঢাকায়। মঙ্গলবার তাকে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয়।

   

আদালতে চিন্ময়কৃষ্ণর আইনজীবী স্বরূপ কান্তি নাথ জানান, ‘এই মামলা ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক। আমরা আজ জামিন আবেদন করেছি। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। আমরা কারাগারে ওনার ডিভিশন ও ধর্মীয় বিধান পালনের দুটি আবেদন করেছিলাম। আবেদন দুটি মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজকের আদেশে আমরা সংক্ষুব্ধ। আগামীকালই (বুধবার) আবার জামিনের আবেদন করব।’

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে চিন্ময়কৃষ্ণকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিবিসি’র খবর, বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট রক্তাক্ত গণবিক্ষোভে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকে কয়েকবার আক্রান্ত হয়। তবে অন্তর্বর্তী সরকার এই দাবি নাকচ করে জানায় শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের সমর্থকদের বিরুদ্ধে সাধারণ জনতার ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে। ক্ষোভের মুখে পড়েছেন হাসিনার সমর্থক মুসলমানরাও। এই বিষয়টিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম শুধুমাত্র হিন্দু আক্রান্ত বলে ভুয়ো খবর প্রচার করছে।

জানা গেছে গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের লালদিঘী মাঠে একটি জনসভা করেন চিন্ময়কৃষ্ণ। জনসভার পর ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়, সেখানে চিন্ময় দাসকেও আসামি করা হয়।

সেই সমাবেশে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন প্রাক্তন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। জানা গেছে, এই মামলায় জেরা করতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়কৃষ্ণকে।

বিবিসির খবর, সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আটকের বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়ে এবার বিবৃতি দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ISKCON)। যদিও এই নেতা ইসকন থেকে বহিষ্কৃত বলেই জানা গেছে।