আমেরিকান গায়িকা, অভিনেত্রী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মেরি মিলবেন (Mary Millben), সম্প্রতি বাংলাদেশের ইসকনের পুরোহিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার (Chinmoy Krishna Das Arrest) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মেরি, ওকলাহোমা শহরে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং চারটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য পারফর্ম করেছেন। মেরি তার সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান। তিনি হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর চরমপন্থীদের আক্রমণ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে (Chinmoy Krishna Das Arrest) সম্প্রতি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে একটি স্ট্যান্ডে পতাকা উত্তোলনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। দেশদ্রোহিতার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । তিনি বর্তমানে হেফাজতে রয়েছেন। তার জামিন আবেদন অস্বীকার করা হয়েছে, ফলে তার মুক্তির দাবিতে নানা ধরনের আন্দোলন শুরু হয়েছে। মেরি মিলবেন (Mary Millben)তার পোস্টে বলেন, “আমাদের অবশ্যই ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং বিশ্বব্যাপী সকল বিশ্বাসী মানুষের নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে।”
The imprisonment of Chinmoy Krishna Das and the continued attacks against Hindus and other minorities by extremist in Bangladesh must be addressed now by world leaders. We must preserve religious freedom, and the safety of all people of faith globally. #ReleaseChinmoyKrishnaDas pic.twitter.com/0zvk6i1Sti
— Mary Millben (@MaryMillben) November 27, 2024
ইসকন (International Society for Krishna Consciousness) হল একটি ধর্মীয় সংগঠন যা ভগবান কৃষ্ণের শিক্ষা অনুসরণ করে এবং হরে কৃষ্ণ আন্দোলন নামে পরিচিত। ইসকনের (ISKCON) বিরুদ্ধে সম্প্রতি একটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছে, যেখানে সংগঠনটিকে ‘চরমপন্থী’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। পিটিশনে দাবি করা হয়েছে যে, ইসকন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সহিংসতা উসকে দেয় এবং ঐতিহ্যবাহী হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর তার বিশ্বাস চাপিয়ে দেয়। এছাড়া, অভিযোগ করা হয়েছে যে ইসকন নিম্ন হিন্দু বর্ণের সদস্যদের জোরপূর্বক নিয়োগ করছে এবং সনাতন মন্দিরগুলি দখল করছে।
এছাড়া, পিটিশনে বলা হয়েছে যে ইসকন (ISKCON) ভারতীয় মিডিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা করে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। এসব অভিযোগের কারণে ইসকন বাংলাদেশে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের (Chinmoy Krishna Das Arrest) পর। সংগঠনটি এই অভিযোগগুলিকে ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা দাবি করে নিন্দা করেছে এবং সরকারের কাছে সনাতন সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রচারের জন্য আবেদন জানিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষার পক্ষে মেরি মিলবেনের (Mary Millben) আহ্বান বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় পরিস্থিতিতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক মহল এই ঘটনার দিকে নজর রেখেছে (International Concern Bangladesh)।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের (Chinmoy Krishna Das Arrest) গ্রেপ্তারের ঘটনাটি বাংলাদেশের ধর্মীয় পরিস্থিতি এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার প্রশ্নটি নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে। ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা এবং বাংলাদেশ সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ আশা করা হচ্ছে।