হাসিনা ভাল কাজ করেছেন, ইউনিসের মৌলবাদী বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বিগ্ন ট্রাম্প-শিবির

বাংলাদেশে (Bangladesh) মৌলবাদ ও চরমপন্থা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (USA)। প্রাক্তণ হোয়াইট হাউস কর্মকর্তা লিসা কার্টিস, যিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) প্রথম মেয়াদে…

US Prez's camp expresses concern over extremism in Bangladesh, praises Hasina's control

বাংলাদেশে (Bangladesh) মৌলবাদ ও চরমপন্থা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (USA)। প্রাক্তণ হোয়াইট হাউস কর্মকর্তা লিসা কার্টিস, যিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) প্রথম মেয়াদে দক্ষিণ এশিয়ার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছিলেন, তাঁর বক্তব্যে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক চিন্তা রয়েছে, বিশেষ করে যখন এই অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন রকমে এগিয়ে যাচ্ছে।” 

অমিত শাহের পর এবার রাহুলের হেলিকপ্টারে তল্লাশি কমিশনের

   

লিসা কার্টিস বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অনেকখানি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশে সর্বশেষ যে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, তা ভবিষ্যতের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তবে, তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসাও করেছেন, বলেছিলেন, “শেখ হাসিনা মৌলবাদ নিয়ন্ত্রণে একটি ভালো কাজ করেছেন।”

লিসা কার্টিস বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আরও বিস্তারিতভাবে বলেন, “আমরা বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থা সংস্কারের প্রচেষ্টা অনেকেই আশাবাদী করে তুলেছে। মানুষ আশা করছে যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী হবে।”

তার এই বক্তব্যের মধ্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কয়েকটি বড় পরিবর্তন ঘটেছে, বিশেষ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং বিরোধী দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের আন্দোলন। এই পরিস্থিতি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য কী ধরনের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়ে লিসা কার্টিসের উদ্বেগ প্রবল।

লিসা কার্টিস বলেছেন, বাংলাদেশের মধ্যে মৌলবাদ ও চরমপন্থার উত্থান একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মতে, এই ধরনের উত্থান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে। গত কয়েক বছরে, বাংলাদেশে মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোর কার্যক্রম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিদেশি নাগরিকদের ওপর হামলা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ঘটনা ঘটেছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চিন্তিত করেছে। 

‘তুমি মরে যাও..’ AI-এর অদ্ভুত জবাবে বেকায়দায় পড়ুয়া

এছাড়া, কার্টিস সতর্ক করেছেন যে, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক সহিংসতা এবং দেশব্যাপী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বাংলাদেশকে আরো গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দিতে পারে, যা দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

লিসা কার্টিস সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকাকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছেন। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা দেশের মৌলবাদী শক্তি দমন করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার শাসনামলে মৌলবাদী কার্যক্রম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে ছিল, যা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।” তবে, তার মতে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিবর্তন ও আন্দোলনের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার পতন এবং রাজনৈতিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

লিসা কার্টিস আরও বলেন, বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে সমর্থন প্রাপ্ত একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দেখতে চায়। তবে তার মতে, রাজনৈতিক সংস্কারের পাশাপাশি বাংলাদেশে আইনের শাসন এবং মৌলিক মানবাধিকার রক্ষায় আরও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের ওপর নজর রাখছে, এবং তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশের সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ঝাড়খণ্ডে শুক্রবার করে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্ফোরক হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং মৌলবাদ ও চরমপন্থার উত্থান বিষয়ে লিসা কার্টিসের মন্তব্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ খুবই জরুরি। এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ শান্তির জন্য নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।