বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sunil Gangopadhyay) পৈত্রিক ভিটে জবরদখল হয়েছিল। বাংলাদেশে (Bangladesh) থাকা প্রয়াত সাহিত্যিকের সেই বাড়ি অবশেষে দখলমুক্ত। এই জবরদখলে অভিযুক্ত বিএনপির এক নেতা। প্রয়াত সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈত্রিক ভিটে বাংলাদেশের মাদারীপুরে। তাঁর পরিবার দেশভাগের পর ভারতে চলে যায়। তিনি কলকাতায় প্রয়াত হন।
মাদারীপুরের ডাসারে বিএনপির নেতার দখল থেকে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ে পৈতৃক ভিটা দখলমুক্ত করেছে প্রশাসন। বিএনপির নেতার লাগানো তালা ভেঙে নতুন তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) পুলিশ, সেনা নিয়ে প্রয়াত লেখকের পৈতৃক ভিটা পরিদর্শন শেষে পুরো বাড়ি ও জমি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা জানান কালকিনি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ।
এই উপজেলার পূর্ব মাইজপাড়া এলাকায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের। পৈত্রিক ভিটে। অভিযোগ, কালকিনি উপজেলা বিএনপির নেতা সোহেল হাওলাদার জবরদখল করেছিলেন লেখকের পৈতৃক ভিটে। লেখকের ঘরে থাকা একাধিক ছবি, ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ওই ঘরে চাল মজুত করে ঘরটি তালাবদ্ধ করে রাখেন ওই বিএনপি নেতা এলাকার সাহিত্যপ্রেমী নাগরিকরা এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা করেন। সোমবার রাতেই জেলা প্রশাসন থেকে লেখকের বাড়িটি পুনরুদ্ধারের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার প্রয়াত সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্মৃতিবিজড়িত পৈতৃক ভিটেতে পুলিশ ও সেনা কর্মীদের নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করেন কালকিনি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ ও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবা ইসলামসহ পুলিশের কর্মকর্তারা।
উত্তম কুমার দাশ বলেন, ‘সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ে পৈতৃক ভিটা ও জমি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে প্রশাসন। লেখকের ঘরে নতুন তালা লাগানো হয়েছে। এই জমিতে অনুমতি ছাড়া কাউ যেন প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য সবাইকে সর্তক করা হয়েছে। অতি শিগগিরই আমরা লেখকের পৈতৃক ভিটায় সুনীল স্মৃতি মিউজিয়াম হবে।
স্থানীয় থানার ওসি এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলেই আমরা অনুপ্রবেশকারী দখলদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।