বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক প্রতিরোধে সুর নরম ইসলামপন্থীদের, হবে লালন উৎসব

রক্তাক্ত গণবিদ্রোহে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশ (Bangkadesh) ইসলামপন্থী সংগঠনগুলির দাপট বেড়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালনে আসছে বাধা। একাধিক অভিনেত্রীকে প্রকাশ্য অনুষ্ঠান করতে…

Lalon Utsab Rescheduled in Bangladesh

রক্তাক্ত গণবিদ্রোহে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশ (Bangkadesh) ইসলামপন্থী সংগঠনগুলির দাপট বেড়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালনে আসছে বাধা। একাধিক অভিনেত্রীকে প্রকাশ্য অনুষ্ঠান করতে বাধা দেওয়ায় অভিযুক্ত ইসলামি সংগঠন। বিতর্ক উসকে ওঠে লালন ফকির (লালন সাঁই) স্মরণোৎসব ঘিরে। বাউল রীতির এই উৎসব বন্ধ করার ফতোয়া দিয়েছিল ইসলামি মৌলবাদীরা। সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের মুখে মৌলবাদীরা সরে এলো তাদের অবস্থান থেকে।

টাঙ্গাইলের মধুপুরে হেফাজতে ইসলাম ও কওমি ওলামা পরিষদের বাধার মুখে স্থগিত হওয়া লালন স্মরণোৎসবের নতুন তারিখ নির্ধারণ হয়েছে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় অডিটোরিয়ামে এই স্মরণোৎসব হবে। সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে নরম হয়েছে ইসলামপন্থীরা। বৈঠকে হেফাজতে ইসলাম প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অনুষ্ঠান আয়োজনে তারা কোনও বাধা সৃষ্টি করবে না।

   

টাঙ্গাইলের মধুপুর বাসস্ট্যান্ডে লালন স্মরণোৎসব হওয়ার কথা ছিল। স্থানীয় হেফাজতে ইসলাম ও কওমি ওলামা পরিষদের নেতাকর্মীর বাধার মুখে ওই অনুষ্ঠান স্থগিত করতে বাধ্য হয় উৎসব কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে বাংলাদেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। চাপের মুখে সমঝোতা বৈঠকের উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। 

এই বৈঠকে অংশ নেন লালন সংঘের সভাপতি ফরহাদ হোসেন তরফদার, সাধারণ সম্পাদক গৌতম চন্দ্র সাহা, অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সবুজ মিয়া এবং স্থানীয় হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মুফতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল্লাহ।

বৈঠকের পর সরকারি প্রতিনিধি জুবায়ের হোসেন বলেছেন, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি লালন স্মরণোৎসবের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যারা আগে অনুষ্ঠান আয়োজনে আপত্তি জানিয়েছিলেন তারাও বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। আয়োজকদের তরফে ধর্মবিরোধী কোনো বক্তব্য যেন না দেওয়া হয় সেটি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

লালন স্মরণোৎসব আহ্বায়ক সবুজ মিয়া জানান, বিতর্কিত বক্তব্য, তথ্য ও সংগীত উপস্থাপন করা যাবে না এই শর্তে উৎসবের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে লালনের গান বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাধা নেই। তবে হেফাজতে ইসলামের দাবি লালনের এমন কোনো বক্তব্য উপস্থাপন করা যাবে না যা নিয়ে বিতর্ক আছে।

হেফাজতে ইসলাম নেতা মাওলানা মাহমুদুল্লাহ বলেন, আমরা জানিয়েছি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কোনো বক্তব্য বা গান যাতে পরিবেশন না করা হয়।