হ্যামিলনের হাঁসওয়ালা!

কাহিনি কি সত্যি হয়? কখনো কখনো তোমনই কিছু হয়। যেমনটা হচ্ছে মিন্টুর ক্ষেত্রে। তার বাঁশির সুরে পিলপিল করে হাঁস বেরিয়ে আসে। সুরের টানে চলতে থাকে…

Hamilton of Bangladesh

কাহিনি কি সত্যি হয়? কখনো কখনো তোমনই কিছু হয়। যেমনটা হচ্ছে মিন্টুর ক্ষেত্রে। তার বাঁশির সুরে পিলপিল করে হাঁস বেরিয়ে আসে। সুরের টানে চলতে থাকে হাঁসের পাল! এ ঘটমা যেন হ্যামিলনের সেই বাঁশিওয়ালার মতো যার বাঁশির সুরে হাজার হাজার ইঁদুর বেরিয়ে আসত। বাংলাদেশের মিন্টু যেন হ্যামিলনের হাঁসওয়ালা!

খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরার বাসিন্দা ওসমান গণি মিন্টুর বাঁশির সুরে মুগ্ধ হয়ে হাঁসের পাল তার পেছনে পেছনে মাঠেঘাটে চরে বেড়ায়। এ দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। মিন্টু অপূর্ব সুরে বাঁশি বাজাতে পারেন।

   

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার নোয়াকাটি এলাকার একটি উন্মুক্ত বিলে তাঁবু ফেলে হাঁসের খামার গড়ে তুলেছেন তিনি।

সাতক্ষীরার শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের মিন্টু এলাকায় ‘হাঁস মিন্টু’ নামে বেশি পরিচিত। তার পেছনে ছুটে বেড়ানো হাঁসের দলের এমন অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখতে অনেকে দূর থেকে আসেন।

শুধু বাজারের কৃত্রিম খাদ্যমুক্ত হাঁস পালনই নয়, বরং হাঁসের সঙ্গে অনন্য মিতালী গড়ে তুলে এলাকায় তাক লাগিয়েছেন মিন্টু। এই হাঁস চাষ করেই স্ত্রী, দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন তিনি।

মিন্টু  বলেন, একদিন হঠাৎ মন খারাপ হলে মাঠে বসে বাঁশি বাজাচ্ছিলাম। তখন দেখি একপাল হাঁস উতলা হয়ে কাছে আসছে। ভাবলাম হাঁসগুলোকে বাঁশির সুর শোনানোর অভ্যাস করালে কেমন হয়! সেই থেকে শুরু। এখন বাঁশি বাজালেই হাঁসের পাল ঝাঁপ বেঁধে চলে আসে।

মিন্টু বলেছেন, ‘হাঁস পালন করে আমি সফল হয়েছি। আমি চাই বাংলাদেশের বেকার যুবকরা চাকরির পেছনে না ঘুরে হাঁস বা গাভি পালনের মতো বিভিন্ন কৃষি খাত নিয়ে কাজ করলে এগিয়ে যেতে পারবেন। এ জন্য কৃষি কর্মকর্তারা যেন বেকার যুবকদের সহযোগিতা করেন’

মিন্টুর কাছে প্রায় দেড়হাজার হাঁস আছে। সকাল হলেই বাঁশির সুর তুনে হাঁসগুলোকে খামার থেকে বের করে বিভিন্ন বিলে নিয়ে যান তিনি। মনে হবে বাঁশি বাজিয়ে হ্যামিলনের হাঁসওয়ালা চলেছে।