মৃত্যুর পর পাঁচ দশক পার হয়েছে। বিদ্রোহী কবি নজরুলের (Kazi Nazrul Islam) রচিত গান ও কবিতার গ্রন্থস্বত্ত নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বারবার। বাংলাদেশ ও ভারতে ছড়িয়ে থাকা কবির বংশজরা এতে মর্মাহত। এসবের মাঝে এতদিন বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় কবি হিসেবে মৌখিক তকমা ছিল, এবার সেটি কাটল। বাংলাদেশের ‘জাতীয় কবি’র আইনি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন কাজী নজরুল ইসলাম। (Kazi Nazrul Islam received state recognition as the national poet of Bangladesh in a gazette notification)
১৯৭২ সালের ২৪ মে বাংলাদেশে আসার তারিখ থেকে কবি নজরুলকে সে দেশের ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণা করা হয়েছিল। কবিকে ভারত সরকারের কাছ থেকে চেয়ে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কবির প্রয়াণ হয় ঢাকায়।
বাংলাদেশে গত সাড়ে পনের বছরে শেখ হাসিনার শাসনে বারবার কবি নজরুলের জাতীয় কবির মর্যাদাটির সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের দাবি উঠেছিল। সেটি কার্যকরী হল মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বে চলা অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে। গতবছর গণবিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন হাসিনা।
Kazi Nazrul Islam received state recognition as the national poet of Bangladesh in a gazette notification (ভারত থেকে বিশেষ অনুমতির পর কবি নজরুলকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল)
কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালের ২৪ মে কলকাতা থেকে সরকারি উদ্যোগে সপরিবারে ঢাকায় আনা হয় এবং তার বসবাসের জন্য ঢাকার ধানমন্ডির ২৮ নম্বর (পুরাতন) সড়কের ৩৩০-বি বাড়িটি বরাদ্দ করা হয়। এরপর ১৯৭৬ সালের জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকার কবি নজরুলকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করে। তবে তাঁর নামে জাতীয় কবি তকমা আইনি স্বীকৃতির নোটিশ এতদিন জটিলতায় আটকে ছিল।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রকের সচিব মহম্মদ আতাউর রহমানের সই করা গেজেট প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় গত ডিসেম্বরে উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণা করা হয়েছে এবং এটি সবার অবগতির জন্য গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। কবি কাজী নজরুল ইসলামের জাতীয় কবির মর্যাদার বিষয়টি ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত সত্য এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও স্বীকৃত। বাংলাদেশের জনগণ তাকে তার ঢাকায় আগমনের তারিখ থেকে জাতীয় কবি ঘোষণা করে সরকারি প্রজ্ঞাপন প্রত্যাশা করে আসছিল। উপদেষ্টা পরিষদ এ প্রত্যাশা অনুযায়ী এ প্রস্তাব অনুমোদন করে।
১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাংলা সাহিত্য এবং সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে কাজী নজরুল ইসলামকে সম্মানসূচক ডি লিট উপাধি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) এক সমাবর্তন উৎসবে এই উপাধি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অসুস্থতার জন্য নজরুলকে এ উৎসবে আনা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীকালে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বঙ্গভবনে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদউল্লাহ কবি নজরুলকে ডি. লিট উপাধিতে ভূষিত করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী নজরুলের উদ্দেশে একটি মানপত্র পাঠ করেন।
Kazi Nazrul Islam received state recognition as the national poet of Bangladesh in a gazette notification
কবি নজরুলের জন্ম পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান জেলার চুরুলিয়ায়। কবি নজরুল ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট প্রয়াত হন। করেন। কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।
Kazi Nazrul Islam was declared the ‘National Poet’ after he arrived in Bangladesh from India on May 24, 1972. Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman had requested the poet from the Indian government and brought him to Bangladesh. The poet passed away in Dhaka. In the last fifteen and a half years of Sheikh Hasina’s rule in Bangladesh, there have been repeated demands for official gazette notification of the status of poet Nazrul as the National Poet. It was implemented during the tenure of the interim government led by Muhammad Yunus.