কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) ছবি এমার্জেন্সি, 17 জানুয়ারি ভারতে মুক্তি পেতে চলেছে, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তুর পরিবর্তে উভয় দেশের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার সাথে যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। (Kangana Ranaut’s Emergency banned in Bangladesh)
উল্লেখ্য ‘এমার্জেন্সি’ ছবি ভারতে ১৯৭৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে জারি হওয়া জরুরি অবস্থার সময়ের গল্প। আর ইন্দিরা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনা পাঠিয়েছিলেন। পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ তৈরি হয়েছিল। এই ঘটনার চার বছরের মধ্যে ভারতে জরুরি অবস্থা জারি করে কুখ্যাত হন ইন্দিরা গান্ধী। সেই বছরেই বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে সেনা অভ্যুত্থানে সপরিবারে হত্যা করা হয়। মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা গত বছর (২০২৪) গণবিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রিত।
বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা হিন্দুত্ববাদী-বিজেপি ঘরানার রাজনীতিবিদ হিসেবে বিতর্কিত। কঙ্গনার বহুল প্রত্যাশিত রাজনৈতিক ছবি ‘এমার্জেন্সি’ ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে বাংলাদেশে মুক্তি নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে সূত্র মারফত ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে।
১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বাংলাদেশ তৈরির মুক্তিযুদ্ধ বলেও চর্চিত। কঙ্গনার ছবি এমার্জেন্সি-তে সেই যুদ্ধে ভারতীয় সেনা এবং ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের ভূমিকা এবং শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি সমর্থন দেখানো হয়েছে। যেটি ঐতিহাসিকভাবে সত্য। আর গতবছর ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণবিক্ষেভে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর মুজিব ভাস্কর্য ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পাঠ্যসূচি থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে দিয়েছে।
কঙ্গনার এমার্জেন্সি ছবিতে শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের জাতির জনক বলা হয় এবং তিনি ইন্দিরা গান্ধীকে দেবী দুর্গা বলে সম্বোধন করতেন তা তুলে ধরা হয়। মনে করা হচ্ছে এই কারণেই কঙ্গনার ছবিটি প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
তবে বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হওয়া প্রথম ভারতীয় ছবি এমার্জেন্সি নয়। পুষ্পা 2 এবং ভুলভুলাইয়া 3 এর মতো চলচ্চিত্রগুলিও সে দেশে মুক্তি নিষিদ্ধ করা হয়।