ISKCON: ‘দেশদ্রোহ’ অভিযুক্ত চিন্ময় প্রভুর মুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের আলোচনার অনুরোধ ইসকনের

বিতর্কিত ধর্মীয় নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা চলছে বাংলাদেশে। এই বাংলাদেশি সনাতনি নেতাকে  সোমবার ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তার মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশে (Bangladesh) চলছে জমায়েত বিক্ষোভ।  বিবিসির খবর, সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আটকের বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়ে এবার বিবৃতি দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ISKCON)। যদিও এই নেতা ইসকন থেকে বহিষ্কৃত বলেই জানা গেছে।

Advertisements

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) তাদের এক্স  হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদের সাথে ইসকনের যুক্ত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং অত্যন্ত আপত্তিজনক।বলা হয়, “ইসকন ভারত সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছে যেন তারা অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনা করে এই বিষয়টি স্পষ্ট করে যে আমরা একটি শান্তিপ্রিয় ভক্তি আন্দোলন।” তারা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধও জানায়।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকা থেকেচিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আটক করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান “সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে উনাকে আটক করা হয়েছে। উনার নামে যে মামলা রয়েছে, সেই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।”

Advertisements

উল্লেখ্য  গত ৫ অগাস্ট রক্তাক্ত গণবিক্ষোভে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আট দফা দাবিতে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশসহ নানান কর্মসূচি পালন করে আসছে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট। অভিযোগ ২৫ আগস্ট চট্টগ্রামে  তেমনই এক সমাবেশে  চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন প্রাক্তন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। জানা গেছে, এই মামলায় জেরা করতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়কৃষ্ণকে। তিনি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট কেটেছিলেন।