Bangladesh: বাংলাদেশি সাংসদ খুন, কন্যার আর্তনাদ কলকাতা থেকে ‘বাবার এক টুকরো মাংস এনে দিন’

বাংলাদেশের (Bangladesh) ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাংসদ আনোয়ারুলের খুনের তদন্ত চলছে। তদন্তে উঠে এসেছে তাকে কলকাতায় খুন করে দেহাংশ টুকরো টুকরো করে পাচার করা হয়।…

বাংলাদেশের (Bangladesh) ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাংসদ আনোয়ারুলের খুনের তদন্ত চলছে। তদন্তে উঠে এসেছে তাকে কলকাতায় খুন করে দেহাংশ টুকরো টুকরো করে পাচার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি ও ঢাকা মহানগর পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগ একযোগে সাংসদ হত্যার তদন্ত করছে। সাংসদ আনোয়ারুলকে খুনের পর তার দেহাংশ কোথায় ফেলা হয়েছে তার সন্ধান চলছে।

শুক্রবার নিহত সাংসদ আনোয়ারুলের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন  সাংবাদিকদের সামনে আর্তনাদ করে বলেন, ‘আমার বাবার লাশের এক টুকরো মাংস চাই। যে মাংসের টুকরো ছুঁয়ে দেখতে পারি। সেই মাংসের টুকরোকেই বাবা মনে করে জানাজা করাতে চাই।’ সাংসদ কন্যার আর্তনাদ, কলকাতা থেকে বাবার দেহাংশ এনে দিন। ডরিনের এমন দাবিতে বাংলাদেশ আলোড়িত। বাংলাদেশের  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলাদুজ্জামান খান বলেছেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে।

   

বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনারুল আজীম আনারকে কলকাতা সংলগ্ন নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে খুন করা হয়। তদন্তে উঠে এসেছে খুনের পর সাংসদের দেহ টুকরো করে ট্রলি ব্যাগে পাচার করা হয়। এই খুনের ঘটনায় জড়িতরা সাংসদের পরিচিত। তদন্তে উঠে এসেছে, খুনের কাজটি করেছিল বাংলাদেশে নিষিদ্ধ চরমপন্থী মাওবাদী গোষ্ঠীর নেতা সৈয়দ আমানুল্লাহ, ফয়সাল ভূঁইয়া।

তদন্তে উঠে এসেছে, কলকাতায় বন্ধুর বাড়িতে এসেছিলেন আনোয়ারুল আজীম। ডাক্তার দেখানোর জন্য তিনি বের হন। গত ১৫ তারিখ থেকে তিনি সকল প্রকার যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন। তাকে  নিউটাউনের ফ্ল্যাটে ডেকে আনে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আখতারুজ্জামান শাহীন।  ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, সাংসদকে খুনের পর দেহ টুকরো করার জন্য শাহীন ভাড়া করেছিল জিহাদ হাওলাদারকে। জিহাদ বাংলাদেশি হলেও দীর্ঘ সময় মুম্বইতে ছিল।

খুনের ঘটনার সময় ছিল বাংলাদেশি লাস্যময়ী শিলাস্তি রহমান। তাকে হানি ট্রাপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে শুক্রবার আদালতে সে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছে। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামির ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।  রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সৈয়দ আমানুল্লাহ, ফয়সাল ভূঁইয়া ও সিলাস্তি রহমান।