বাংলাদেশে (Bangladesh) গণহত্যা চালানোর মামলায় অভিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত (Sheikh Hasina) শেখ হাসিনা। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রাইমস ট্রাইবুন্যালে বিচার চলছে। তিনি ভারতে আশ্রিত। এমনই ‘পলাতক’ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেডকর্নার নোটিশ জারি করল আন্তর্জাতিক পুলিশ-ইন্টারপোল। (Interpol issues red notice against Sheikh Hasina on genocide charges)
ইন্টারপোল কর্তৃক লাল তালিকাভুক্ত হওয়ায় শেখ হাসিনা এখন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত। তিনি ইন্টারপোল নজরে একজন ‘আন্তর্জাতিক অপরাধী’ হিসেবে লাল তালিকায় ঢুকলেন।
গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণবিক্ষোভের পর শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে চলে যান। তিনি আছেন নয়াদিল্লিতে ভারত সরকারের কড়া নিরাপত্তা বলয়ে। শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ (ফেরত চাইবে) করতে ভারতের কাছে কূটনৈতিকস্তরে আবেদন করবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। গণবিক্ষোভে হাসিনা জমানা পতনের পর গত ৮ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে চলছে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান ও বিভিন্ন ইস্যুতে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে কটূনৈতিক সম্পর্ক গরম।
Interpol issues red notice against Sheikh Hasina on genocide charges শেখ হাসিনাকে ঘিরে বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সংঘাত
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মহম্মদ তাজুল ইসলাম। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির মাধ্যমে শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের ফেরত আনতে চায় সরকার।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন শেখ হাসিনাসহ গণহত্যায় অভিযুক্ত পলাতক সব আসামিকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার।
গত ১২ নভেম্বর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছিলেন, শেখ হাসিনা গণহত্যা, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এবং মামলার আসামি। তবে তিনি পালিয়ে গেছেন এবং বর্তমানে দেশের সীমানার বাইরে অবস্থান করছেন। এরকম একজন অপরাধীকে গ্রেফতার করতে বা তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে ইন্টারপোলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
Interpol issues red notice against Sheikh Hasina on genocide charges বাংলাদেশে শেখ হাসিনার ফাঁঁসির দাবি
শেখ হাসিনাকে কি বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে ভারত সরকার? এমনই প্রশ্ন উঠছে ঢাকা ও নয়াদিল্লিসহ আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে। দ্বিধাবিভক্ত কূটনৈতিক মহল। আর বাংলাদেশে দাবি উঠেছে গণহত্যা মামলায়. শেখ হাসিনার বিচার করে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে।
বিবিসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর, শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করে বারবার রাজনৈতিক মন্তব্য করে চলেছেন। তাকে মুখ বন্ধ রাখার বার্তা দেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস। কূটনৈতিক ইস্যুতে সম্প্রতি ঢাকা সফর করেছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। তিনি সফর শেষ করে নয়াদিল্লি ফিরে বলেন শেখ হাসিনার কোনও মন্তব্য সমর্থন করে না ভারত।
Sheikh Hasina was ousted from power after mass protests in Bangladesh on August 5 and fled to India. She is under the strict security of the Indian government in New Delhi. The interim government of Bangladesh will make a diplomatic appeal to India to extradite Sheikh Hasina. After the Hasina regime fell in mass protests, an interim government led by Nobel laureate Muhammad Yunus has been in power in Bangladesh since August 8. Diplomatic relations between Dhaka and New Delhi are tense over Sheikh Hasina’s stay in India and various issues.