ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন বাংলাদেশ, সংবাদ স্তব্ধ করে ‘চরম পথে’ হাসিনা সরকার ?

যে পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসে মুখচোরা ছিল। ক্ষমতাসীন দলের নেতা নেত্রীদের ভয়ে কাঁপত, সেই পড়ুয়াদের আক্রমণে গত আটচল্লিশ ঘণ্টায় প্রাণ হাতে করে পালাতে দেখা গেছিল নেতা-নেত্রীদের। মেধায়…

bangladesh 3 ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন বাংলাদেশ, সংবাদ স্তব্ধ করে 'চরম পথে' হাসিনা সরকার ?

যে পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসে মুখচোরা ছিল। ক্ষমতাসীন দলের নেতা নেত্রীদের ভয়ে কাঁপত, সেই পড়ুয়াদের আক্রমণে গত আটচল্লিশ ঘণ্টায় প্রাণ হাতে করে পালাতে দেখা গেছিল নেতা-নেত্রীদের। মেধায় চাকরির দাবিতে চলা আন্দোলনে বাংলাদেশে (Bangladesh) রক্তাক্ত পরিস্থিতি। সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২৫ জন নিহত।

বৃহস্পতিবারের তীব্র সংঘর্ষময় অবস্থা দেখে গোটা বিশ্বে আলোড়ন ছড়ায়। আর শুক্রবার বাংলাদেশের সংবাদ স্তব্ধ। সর্বশেষ ১৫-১৬ ঘণ্টা আগের রক্তাক্ত পরিস্থিতির খবর এসেছে। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ চেয়ে দেশটির পড়ুয়ারা রাজপথে গণআন্দোলনে সামিল।

   

ইন্টারনেট বন্ধ করার কারণ নিয়েই সন্দেহ তুঙ্গে। মাঝ রাত পার করে বাংলাদেশ ইন্টারনেট সংযোগে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলির আশঙ্কা আন্দোলন দমন করতে শেখ হাসিনার সরকার চরম পথ নিতে চলেছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কী ঘটছে তা জানাতে পারছেন না আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশ রক্তাক্ত ছাত্র আন্দোলন নিয়ে বিবিসি বাংলার সর্বশেষ সংবাদও ১৫ ঘণ্টা আগে প্রকাশিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ (সর্বাত্মক বনধ) পালন করে পড়ুয়ারা। তীব্র সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত বলেই সর্বশেষ খবর এসেছে। একাধিক থানা, পুলিশ চৌকি, সরকারি ভবনে আগুন ধরানো হয়। রাস্তায় রাস্তায় পড়ুয়াদের সঙ্গে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র-যুব শাখার সংঘর্ষ চলে। রাজধানী ঢাকায় কমপক্ষে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া বাকি প্রশাসনিক বিভাগ চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহের পরিস্থিতিও রক্তাক্ত-অগ্নিগর্ভ।

সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কারের পক্ষেই শেখ হাসিনা এমনই জানিয়েছেন ক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, দেশে সরকারি চাকরিতে ৮০ শতাংশ নিয়োগ হোক মেধার ভিত্তিতে এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হবে। তবে শীর্ষ আদালতের রায় যা হবে তাই মানবে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোটা সংস্কারের দাবি যৌক্তিক তবে সবই নির্ভরশীল সুপ্রিম কোর্টের রায়ে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকারের তরফে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা আলোচনা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, দ্বিমুখী নীতি নিয়েছেন। পুলিশ ও ছাত্র সংগঠন দিয়ে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চলছে কেন প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।