বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কারের বার্তা ড: ইউনূসের, পাল্টাবে রবীন্দ্রনাথ রচিত জাতীয় সঙ্গীত?

জাতির উদ্দেশে ভাষণে বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্তমান সংবিধান সংস্কার হবে বলে জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (সেপ্টেম্বর ১১) সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকার…

Government Chief Advisor Muhammad Yunus Calls for Constitutional Reforms in Bangladesh

জাতির উদ্দেশে ভাষণে বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্তমান সংবিধান সংস্কার হবে বলে জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (সেপ্টেম্বর ১১) সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন (Muhammad Yunus) তিনি। গণবিক্ষোভে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে পতন হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলা আওয়ামী লীগ সরকারের। পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার চলবে।

বুধবার ড. ইউনূস তাঁর ভাষণে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন ও জনপ্রশাসন ব্যবস্থা সংস্কারের বার্তা দেন। প্রতিটি ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান। যেখানে নেতৃত্বে থাকছেন ছয় বিশিষ্ট নাগরিক।

   

বাংলাদেশ সংবিধান প্রস্তাবনার অংশ:
আমরা অঙ্গীকার করিতেছি যে, যে সকল মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে আত্মনিয়োগ ও বীর শহীদদিগকে প্রাণোৎসর্গ করিতে উদ্বুদ্ধ করিয়াছিল -জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সেই সকল আদর্শ এই সংবিধানের মূলনীতি হইবে

মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা যেহেতু জনগণের ভোটাধিকার ও জনগণের মালিকানায় বিশ্বাস করি, সেহেতু নির্বাচন ব্যবস্থার  উন্নয়নে আমাদের সংস্কার ভাবনায় গুরুত্ব পেয়েছে। আমরা মনে করি নির্বাচনের নামে সংখ্যাগরিষ্ঠতার একাধিপত্য ও দুঃশাসন মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বা এর মাধ্যমে এক ব্যক্তি বা পরিবার বা কোনও গোষ্ঠীর কাছে সকল ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। এসব আশঙ্কা রোধ করার জন্য নির্বাচনের সাথে সম্পর্কিত নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের কথা আমরা ভাবছি।

তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থার সাথে সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রশাসন, বিচার প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন এই চারটি প্রতিষ্ঠানের  সংস্কার করা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য। এসব প্রতিষ্ঠানের সংস্কার জনমালিকানা ভিত্তিক,  জবাবদিহিমূলক ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায়ও অবদান রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এর পাশাপাশি করে সমাজের সকল স্তরের মানুষের প্রতিনিধিত্ব ও স্বার্থ নিশ্চিত করার জন্য এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্তাকে প্রতিফলিত করার জন্য সাংবিধানিক সংস্কারের প্রয়োজন আমরা অনুভব করছি।

শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতাসীন হতেই বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার ও জাতীয় সঙ্গীত বদলানোর দাবি তুলেছে একাধিক ইসলামপন্থী সংগঠন। তবে রবীন্দ্রনাথ রচিত জাতীয় সঙ্গীত রক্ষার জন্য প্রবল জনমত দেখা গেছে। ড. ইউনূসের সরকার জানায়, জাতীয় সঙ্গীত বদলানোর পদক্ষেপ অন্তর্বর্তী সরকার নেবে না।