গ্লোবাল সামিটে মোদীকে বার্তা ড. ইউনূসের ‘ছাত্র নেতৃত্বের বিপ্লব দেখতে জলদি আসুন’

বাংলাদেশে একটি ছাত্র বিপ্লব বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। এই বিপ্লবের বার্তায় ঢাকা এখন বিশ্বের গ্রাফিতি রাজধানী। রঙ দেখতে অবশ্যই জলদি আসুন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীসহ বিশ্বকে এমনই…

Indian Prime Minister Modi was invited to visit Bangladesh by Chief Advisor of the Interim Government Muhammad Yunus

বাংলাদেশে একটি ছাত্র বিপ্লব বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। এই বিপ্লবের বার্তায় ঢাকা এখন বিশ্বের গ্রাফিতি রাজধানী। রঙ দেখতে অবশ্যই জলদি আসুন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীসহ বিশ্বকে এমনই কূটনৈতিক বার্তা দিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ভারত সরকারের আমন্ত্রণে নয়াদিল্লিতে তৃতীয় ভয়েস অব দ্য গ্লোবাল সাউথ সামিটে ভার্চুয়ালি যোগ দেন। শেখ হাসিনা জমানা পতনের পর বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ড. ইউনূস শনিবারই প্রথম বার্তা দিলেন বিশ্বকে।

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে আসন সংরক্ষণ ইস্যুতে রক্তাক্ত ছাত্র আন্দোলন ও গণবিক্ষোভে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রিত। গত ৫ আগস্ট তাঁর সরকারের পতন হয়েছে। গত ৮ আগস্ট বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস। বহু মানুষের মৃত্যুর পর বাংলাদেশে পালাবদল হয়। এই পালাবদল ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লব’ ও ‘স্বৈরতন্ত্রের পতন’ হিসেবে চিহ্নিত।

   

শনি কূটনীতি! দিল্লিতে ড. ইউনূসের ভাষণ শুনবেন মোদী ও পলাতক হাসিনা

বাংলাদেশের পালাবদল হওয়ার পর ড. ইউনূস প্যারিস থেকে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশকে কেউ অস্থিতিশীল করতে চাইলে চারদিকে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়বে। প্রতিবেশী মায়ানমার, ভারতের সেভেন সিস্টার্স, পশ্চিমবঙ্গ সব জায়গাতেই ছড়িয়ে পড়বে অস্থিরতা।’ তাঁর মন্তব্য তীব্র আলোচিত হয়। পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সৌজন্যমূলক আলোচনা করেন ইউনূস।

বড় স্বস্তি দিল্লির, মুম্বাই হামলার চক্রী পাক বংশোদ্ভূত রানা ভারতে হস্তান্তরযোগ্য! রায় মার্কিন আদালতের

শনিবার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল সামিটে ড. ইউনূস বলেছেন “আমাদের কাজ এখন আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, মিডিয়া, অর্থনীতি এবং শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করা।আমি আপনাকে শীঘ্রই ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। অন্যথায় আপনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করতে পারেন।”

ড. ইউনূস বলেন “1952 সালে বাংলাদেশী ছাত্ররা তাদের মাতৃভাষার জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিল। এটি সারা বিশ্বে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকারের জন্য সংগ্রামকে অনুপ্রাণিত করেছে। প্রায় সাত দশক পরে আমাদের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় বিপ্লব গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মর্যাদা, সমতা এবং ভাগ করে নেওয়া সমৃদ্ধির জন্য তাদের আওয়াজ তুলতে বিশ্বব্যাপী দক্ষিণ জুড়ে তরুণদের অনুপ্রাণিত করছে। এই বিপ্লবে অংশ নিতে এবং তাদের স্বপ্নকে সত্যি করতে সাহায্য করার জন্য আমি সবচেয়ে বয়স্ক “তরুণ ব্যক্তি” হিসেবে সম্মানিত। তাদের আপনাদের সকলের সমর্থন প্রয়োজন। তাদের সাফল্য কামনা করি।”