বাংলাদেশ, ১০ অক্টোবর: বাংলাদেশের (Bangladesh) বাজারে সম্প্রতি একপ্রকার ‘ঝালের সংকট’ তৈরি হয়েছিল। সপ্তাহ খানেক আগেও সে দেশের খুচরো বাজারে কাঁচা লঙ্কার দাম আকাশছোঁয়া হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
কোথাও কোথাও এই লঙ্কার দাম কেজিপ্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ বাংলাদেশি টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল, যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যায়। বৃষ্টির কারণে এমনিতেই সবজির জোগান কম, তার উপর কাঁচা লঙ্কার এমন দামের ঝাঁজে নাকাল হয়ে পড়েন ভোক্তারা। এই জ্বালা থেকে কিছুটা স্বস্তি এনেছে প্রতিবেশী দেশ ভারত।
গত কয়েক দিনে ভারতের মহারাষ্ট্র এবং বিহার থেকে টন টন কাঁচালঙ্কা রপ্তানি হয়েছে বাংলাদেশে। অক্টোবরের ৪ তারিখ থেকে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর, উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর ও আরও কিছু সীমান্ত দিয়ে ট্রাকে করে শুরু হয় লঙ্কা পাঠানো। ভারতীয় কাঁচা লঙ্কা পৌঁছাতেই বাংলাদেশের বাজারে মিলেছে অনেকটাই স্বস্তি। বেড়েছে জোগান, কমেছে দাম। স্বাভাবিকভাবেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ।
বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহে পেঁয়াজ, আলু এবং অন্যান্য সবজির দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কাঁচা লঙ্কাও রীতিমতো বিলাসবস্তুতে পরিণত হয়েছিল। দেশের অভ্যন্তরে অতিবৃষ্টির ফলে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কাঁচা লঙ্কার উৎপাদন কমে যায়।
ভারতের বাজারেও কাঁচা লঙ্কার দাম ঊর্ধ্বমুখী হলেও, বাংলাদেশের সংকট বিবেচনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। রপ্তানির জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয় এবং মহারাষ্ট্র ও বিহার থেকে লঙ্কা পাঠানো শুরু হয়। এই তৎপরতার ফলে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে বাংলাদেশে জোগান স্বাভাবিক হতে শুরু করে। বিভিন্ন সীমান্ত বন্দর দিয়ে নিয়মিত ট্রাকে করে কাঁচা লঙ্কা ঢুকতে থাকায় দামও নিয়ন্ত্রণে আসে।