‘সন্দেহজনক যাত্রা’ অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার সময় হিন্দু বাংলাদেশিদের ফেরত

সম্প্রতি ইসকন বাংলাদেশের ‘বহিষ্কৃত’ নেতা ও সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার কেন্দ্র করে বাংলাদেশ-ভারতের কুটনৈতিক সম্পর্কের দৃশত অবনতি ঘটেছে। এই…

Benapole

short-samachar

সম্প্রতি ইসকন বাংলাদেশের ‘বহিষ্কৃত’ নেতা ও সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার কেন্দ্র করে বাংলাদেশ-ভারতের কুটনৈতিক সম্পর্কের দৃশত অবনতি ঘটেছে। এই প্রেক্ষিতে ভিসা থাকলেও বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে ভারতে ঢুকতে পারলেন না অনেকে। এরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশি হিন্দু।

   

বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধ করার প্রচার তুঙ্গে। তবে রামকৃষ্ণ মিশন ও অন্যান্য হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনগুলি নিয়ে কোনো ক্ষোভ নেই।

বিবিসি জানাচ্ছে, যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ( পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল সীমান্ত বনগাঁ) ঢোকার সময় গত দুই দিনে সনাতন ধর্মের ৬৩ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে বাংলাদেশের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে শনিবার ৫৪ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, আর রবিবার ফেরত দেয়া হয়েছে আরো নয়জনকে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ জানিয়েছেন, “সন্দেহজনক যাত্রা মনে হওয়ায় তাদেরকে ভারত যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি”। তিনি বলেন, “ইমিগ্রেশন পার হওয়ার সময় আমরা সবার সাথে কথা বলি। কথা বলার সময় আমরা বুঝতে পারি উনি খারাপ কোন উদ্দেশ্য নিয়ে যাচ্ছেন কী-না। যখন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্দেহজনক বুঝতে পারি তখন তাদের যাত্রাটা স্থগিত করে দেই”।

বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন পুলিশ জানিয়েছে, যে ৬৩ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের সবাই তীর্থস্থান যাত্রার কথা বলেই ইমিগ্রেশন পার হতে চাচ্ছিলেন এবং তাদের সবার কাছেই ভারতের বৈধ ভিসা ছিল।

পুলিশ কর্মকর্তা আহমেদ বলেন, “যাদেরকে আমরা ফেরত পাঠিয়েছি তাদের পরিচয় সম্পকে বিভিন্ন সোর্স থেকে জানতে পেরেছি যে তারা ইসকনের সদস্য হতে পারে। তবে সবাই ইসকনের অনুসারী কী না সেটা নিশ্চিত নই। তারা ভারতে তীর্থ স্থান ভ্রমন করতে যেতে চেয়েছিলেন”।