হাইকোর্টের মন্তব্য ‘জাতির সঙ্গে মশকরা’, বিতর্কে হাসিনা সরকার

গোয়েন্দা কর্তার সঙ্গে চাউমিন খাওয়ার পরেই বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পডুয়াদের আন্দোলনের নেতৃত্ব জানান, যাবতীয় বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত। এরপরই আরও কয়েকজন বিক্ষোভকারী নেতৃত্বের পাল্টা দাবি আন্দোলন চলবে।…

Bangladesh Prime Minister Sheikh Hasina giving a serious address or warning. She is dressed in traditional attire, and the image captures her with a focused expression, likely speaking at an official event or press conference.

গোয়েন্দা কর্তার সঙ্গে চাউমিন খাওয়ার পরেই বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পডুয়াদের আন্দোলনের নেতৃত্ব জানান, যাবতীয় বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত। এরপরই আরও কয়েকজন বিক্ষোভকারী নেতৃত্বের পাল্টা দাবি আন্দোলন চলবে। ফলে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ইস্যুতে যে গণবিক্ষোভ সংঘটিত হয়েছিল সেটি বিভক্ত।

পড়ুয়াদের আন্দোলনে জঙ্গি ও জামাত ইসলামি ঢুকে দেশে অরাজকতা তৈরি করেছিল বলে বাংলাদেশ সরকারের দাবি। আন্দোলনকারী মঞ্চের নেতা-নেত্রীদের বাড়ি থেকে তুলে এনে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে জেরা করা হয়। তবে বিতর্ক আরও প্রবল হয়, গোয়েন্দা শাখার প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে পড়ুয়াদের নেতৃত্বের চাউমিন খাওয়ার ছবির জন্য। অভিযোগ, ‘জবরদস্তি’ করে আন্দোলন ভাঙতে মরিয়া গোয়েন্দা শাখা।

   

রবিবার আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের নেতৃত্বের সঙ্গে এক টেবিলে খা়ওয়ার কয়েকটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ। তিনি লেখেন,কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই ওদের ডিবি কার্যালয়ে এনে তাদের সঙ্গে কথা বললাম।’

বিক্ষোভের গেরোয় বাংলাদেশিরা, ভিসা বন্ধ করে আমিরি শাস্তি

বিতর্ক আরও বাড়ল সোমবার হাইকোর্টের মন্তব্যে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে খাইয়ে সেই ছবি প্রকাশ করাকে জাতির সঙ্গে মশকরা বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট। এতে তীব্র বিতর্কে শেখ হাসিনার সরকার। সরকার পক্ষকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
 
গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) নিরাপত্তার কথা বলে আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নেতা নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে ঢোকানো হয়। পরে শনিবার আরও তিনি নেতা নেত্রী সারজিস, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকে হেফাজতে নেয়া হয়। অভিযোগ, গোয়েন্দা পুলিশ ঠান্ডা হুমকি দিয়েছে।

টাকার গন্ধে আসছে ‘খবর’, বাংলাদেশে লুট হওয়া বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র ভারতে পাচার?

সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ কমানোর দাবিতে রক্তাক্ত বিক্ষোভে বাংলাদেশে শতাধিক নিহত। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে বলে নোটিশ জারি হয়েছে। পড়ুয়ারা আন্দোলনকারীদের একাংশের দাবি, ধরপাকড় বন্ধ না হলে আন্দোলন চলবে।