রাষ্ট্রসংঘ নজরদারিতে হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে বিচারের দাবি

সরকারি চাকরিতে আসন সংরক্ষণ ইস্যুতে ছাত্র আন্দোলন দমাতে গুলি চালানো হয়েছিল। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এমন দমন নীতি নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তাঁর (Sheikh Hasina) দলের নেতা-কর্মীরাও…

Genocide charges against Sheikh Hasina to be tried in Bangladesh under UN supervision,

সরকারি চাকরিতে আসন সংরক্ষণ ইস্যুতে ছাত্র আন্দোলন দমাতে গুলি চালানো হয়েছিল। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এমন দমন নীতি নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তাঁর (Sheikh Hasina) দলের নেতা-কর্মীরাও গুলি চালনোয় অভিযুক্ত। এমনই দাবি রেখে শেখ হাসিনার বিচার চায় বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। “হাসিনার ফাঁসি চাই” দাবি বাংলাদেশে ক্রমে জমাট হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে বহু মৃত্যুর ঘটনায় বাংলাদেশে শুরু হয় গণবিক্ষোভ। গত জুলাই মাস থেকে চলা এই বিক্ষোভের জেরে ৫ আগস্ট পতন হয়েছে টানা ১৬ বছরের হাসিনা শাসন। তিনি ভারতে আশ্রিত। তাঁকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবি জোরালো হচ্ছে। রক্তাক্ত বিক্ষোভটি বাংলাদেশে ‘জুলাই গণহত্যা’ বলে চর্চিত।

   

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চের তরফে হাসিনার বিচার চেয়ে প্রথম চাপ দেওয়া হচ্ছে। এই মঞ্চের নেতাদের হুঁশিয়ারি, দরকারে উপড়ে ফেলা হবে ইউনূসকেও। চাপের মুখে, অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, “ছাত্র সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠনসহ অনেকে দাবি করছে যে এটিকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসাবে খতিয়ে দেখা যায় কি না। আমরা দেখেছি, জুলাই গণহত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অধীনে বিচার করা সম্ভব।”

‘খোদায় মালুম স্যার কোথায়?’ ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মৃত্যুর ভয়ে লুকিয়ে

রাষ্ট্রসংঘের অধীনে তদন্ত টিম কাজ করবে উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ যারা যারা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত, তাদের “কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

গণবিক্ষোভ চলাকালীন আবু সায়েদকে হত্যার অভিযোগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এস এম আমীর হামজা নামে এক ব্যক্তি মামলার আবেদন করেছেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ বাকিরা হলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রাক্তন পুলিশ প্রধান আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রাক্তন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান, পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগের প্রাক্তন প্রধান হারুন-অর-রশীদ ও অতিরিক্ত যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার।