আল্লাহু আকবর, পুলিশের গুলি ও রামদা ভিডিও দেখে শিউরে উঠছি: তসলিমা নাসরিন

সরকারি নিয়োগে ৫৬ শতাংশ কোটা নীতির সংস্কার চেয়ে বাংলাদেশের পড়ুয়াদের আন্দোলন কি আদৌ তাদের নিয়ন্ত্রণে? এমনই প্রশ্ন উঠছে। কারণ, একাধিক ভিডিওতে হামলার মুহূর্তগুলো কোনও সাধারণ…

সরকারি নিয়োগে ৫৬ শতাংশ কোটা নীতির সংস্কার চেয়ে বাংলাদেশের পড়ুয়াদের আন্দোলন কি আদৌ তাদের নিয়ন্ত্রণে? এমনই প্রশ্ন উঠছে। কারণ, একাধিক ভিডিওতে হামলার মুহূর্তগুলো কোনও সাধারণ পড়ুয়ার নয় বরং এই হামলাকারীরা কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে আন্দোলনে সংযুক্ত বলেই মনে করছেন দেশটির পুলিশ বিভাগের কর্তারা। বৃহস্পতিবারের রক্তাক্ত পরিস্থিতির পর শুক্রবারেও হিংসা ও মৃত্যু অব্যাহত বলে সর্বশেষ রিপোর্টে জানাল বিবিসি বাংলা।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ধর্মান্ধতা ও দেশটিতে এখনও পর্যন্ত থাকা সবকটি সরকারের ভূমিকা বরাবর তীব্র সমালোচনা করেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। তিনি বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত। ভারত ও ফ্রান্স সরকারের ‘আশ্রয়ে’ থাকেন। নিজ দেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক পোস্ট চরম ইঙ্গিতপূর্ণ। উল্লেখ্য অন্যান্য পোস্টের মত তসলিমা এক্ষেত্রে সরাসরি শেখ হাসিনার সরকার, জামাত ইসলামি, ধর্মান্ধতার মত শব্দগুলি এক্ষেত্রে উহ্য রেখেছেন।

   

‘নির্বাসিত লেখিকা’ তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, “বাংলাদেশে যা হচ্ছে, তার ৪টে ভিডিও দেখে গা কেঁপে উঠলো।

Bangladesh: মেধায় চাকরির দাবিতে পড়ুয়াদের সামনে ঝুঁকল দুর্জয় হাসিনার সরকার, আলোচনার বার্তা

এক
সিলেটের এক কোটাবিরোধী ছাত্রদের জমায়েতে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে, নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর।
দুই
প্রায় ফাঁকা রাস্তায় কোটাপক্ষের এক ছেলের হাতে বড় একটি রামদা’। সেই রামদা’ দিয়ে কোটাবিরোধী এক ছেলের গায়ে আঘাত করছে।
তিন
রাস্তায় দাঁড়ানো বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরা একজন পুলিশ কাউকে বলছে, কেউ বাইরে বেরোলে আমরা ডাইরেক্ট গুলি করব, নির্দেশ আছে।
চার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটাবিরোধী ছেলেরা রামদা’ নিয়ে মিছিল করছে, স্লোগান রক্ত নেওয়ার, রক্ত দেওয়ার।”

বিবিসি বাংলার খবর, “সকাল থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে বিকেলে ঢাকার বনশ্রীতে অন্তত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এতে অন্তত ৩০০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।”

বাড়ছে পড়ুয়াদের লাশ, হাসিনাকে বার্তা ‘খুনিদের সঙ্গে আলোচনা নয়’

আন্দোলনের বিশালতা দেখে বাংলাদেশ সরকার আলোচনার প্রস্তাব দেয়। তবে সেই প্রস্তাব মানেনি আন্দোলনকারীরা। যদিও সরকার কোটা নীতির সংস্কার চায় বলেই জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্তা সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত ফয়সালা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। আর আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, মুখে নরম বার্তা দিলেও নিজের দল আওয়ামী লীগের শাখা সংগঠন ছাত্র লীগ ও যুবলীগের কর্মীদের দিয়ে রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি করিয়েছেন হাসিনা।